পাসপোর্ট করার নিয়ম: সম্পূর্ণ গাইড বাংলাদেশ

আপনি কি জানেন পাসপোর্ট করার নিয়ম ভুল হলে আবেদন বাতিল হতে পারে? জানুন সঠিক ধাপগুলো সহজভাবে।

বাংলাদেশ থেকে বিদেশ ভ্রমণ, চাকরি, পড়াশোনা কিংবা চিকিৎসার জন্য বের হতে হলে পাসপোর্ট অপরিহার্য একটি সরকারি ডকুমেন্ট। এটি আসলে আপনার আন্তর্জাতিক পরিচয়পত্র, যার মাধ্যমে আপনি বিশ্বের যে কোনো দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। তবে অনেকেই এখনও জানেন না পাসপোর্ট করার নিয়ম কী, কোন ডকুমেন্ট লাগবে, কত টাকা খরচ হবে কিংবা কতদিনে হাতে পাবেন।

আজকের এই ব্লগে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো —

  • পাসপোর্ট করার প্রাথমিক ধাপ

  • অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম

  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • কত টাকা ফি দিতে হবে

  • কতদিনে হাতে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে

  • সাধারণ ভুল ও সেগুলো এড়ানোর উপায়

👉 তথ্যগুলো অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে যাচাই করা হয়েছে। (রেফারেন্স: বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসিয়াল সাইট)

পোস্ট সূচীপত্র

কেন পাসপোর্ট করা জরুরি?

অনেকে মনে করেন শুধুমাত্র চাকরি বা ভ্রমণের জন্যই পাসপোর্ট দরকার। কিন্তু বাস্তবে বিষয়টি আরও বিস্তৃত।

  • আন্তর্জাতিক ভ্রমণ: বিদেশে ঘুরতে বা ভ্রমণে যেতে হলে ভিসা নেওয়ার আগে বৈধ পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক।

  • চাকরি ও উচ্চশিক্ষা: যারা প্রবাসে চাকরি বা পড়াশোনার সুযোগ নিতে চান, তাদের প্রথম শর্ত হলো বৈধ পাসপোর্ট।

  • বিদেশে চিকিৎসা: উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত, থাইল্যান্ড বা সিঙ্গাপুর যেতে হলে পাসপোর্ট অপরিহার্য।

  • ব্যাংকিং ও পরিচয়পত্র: অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে কিংবা বিদেশে পরিচয় নিশ্চিত করতে পাসপোর্ট লাগে।

👉 তাই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রতিটি নাগরিকেরই অন্তত একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকা প্রয়োজন।

পাসপোর্ট করার নিয়ম – প্রাথমিক ধারণা

বাংলাদেশে বর্তমানে দুটি ধরণের পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়:

  1. ই-পাসপোর্ট (E-Passport) – সম্পূর্ণ ডিজিটাল, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি-সুরক্ষিত পাসপোর্ট।

  2. মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) – বর্তমানে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তবে কিছু ক্ষেত্রে এখনও পাওয়া যায়।

বর্তমানে সরকার ই-পাসপোর্ট করাকেই বাধ্যতামূলক করেছে।

প্রাথমিক ধাপসমূহ:

  1. অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ – অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে।

  2. ফি প্রদান – ব্যাংকে বা অনলাইনে সরকারি নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে।

  3. বায়োমেট্রিক ও ছবি তোলা – নির্ধারিত পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ছবি তোলা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও স্বাক্ষর দিতে হবে।

  4. যাচাই-বাছাই (Verification) – স্থানীয় থানার মাধ্যমে আবেদন যাচাই করা হয়।

  5. পাসপোর্ট সংগ্রহ – নির্ধারিত সময়ে হাতে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।

অনলাইনে পাসপোর্ট করার নিয়ম (Step-by-Step)

বর্তমানে ই-পাসপোর্ট আবেদন সম্পূর্ণ অনলাইনে করা যায়। নিচে ধাপগুলো দেওয়া হলো:

  1. অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান → https://www.epassport.gov.bd

  2. “Apply Online” এ ক্লিক করুন।

  3. আপনার জেলা ও পাসপোর্ট অফিস সিলেক্ট করুন।

  4. অনলাইন ফরম পূরণ করুন – নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর, জন্মতারিখ ইত্যাদি সঠিকভাবে লিখুন।

  5. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন (যদি চাওয়া হয়)।

  6. ফরম সাবমিট করার পর একটি Application ID এবং Token Number পাবেন।

  7. এরপর নির্ধারিত ফি ব্যাংকে জমা দিন বা অনলাইনে পেমেন্ট করুন।

  8. নির্দিষ্ট তারিখে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ছবি, আঙুলের ছাপ ও স্বাক্ষর দিন

পাসপোর্ট করার নিয়ম – প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, ফি ও সময়সীমা

পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম অনুযায়ী কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। আবেদনকারী প্রাপ্তবয়স্ক নাকি অপ্রাপ্তবয়স্ক তার ওপর নির্ভর করে ডকুমেন্ট ভিন্ন হতে পারে।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য (১৮ বছর বা তার বেশি বয়স):

  1. জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) – ফটোকপি ও আসল

  2. জন্ম নিবন্ধন সনদ (যদি NID না থাকে)

  3. ঠিকানার প্রমাণ (যেমন বিদ্যুৎ/গ্যাস বিল, ইউনিয়ন পরিষদ/সিটি কর্পোরেশনের সনদ)

  4. পূর্ববর্তী পাসপোর্ট (যদি থাকে)

  5. আবেদন ফরম প্রিন্ট কপি

  6. সরকারি ফি জমাদানের রসিদ

অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য (১৮ বছরের নিচে):

  1. জন্ম নিবন্ধন সনদ (আবশ্যক)

  2. অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র

  3. অভিভাবকের পাসপোর্ট (যদি থাকে)

  4. আবেদন ফরম প্রিন্ট কপি

  5. সরকারি ফি জমাদানের রসিদ

👉 তথ্য যাচাইয়ের জন্য অফিসিয়াল সোর্স: Department of Immigration & Passports

পাসপোর্ট ফি কত লাগবে?

ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম অনুসারে ফি নির্ভর করে—

  • পাসপোর্টের পৃষ্ঠার সংখ্যা (৪৮ বা ৬৪ পৃষ্ঠা)

  • মেয়াদ (৫ বছর বা ১০ বছর)

  • ডেলিভারির সময় (নরমাল, এক্সপ্রেস, সুপার এক্সপ্রেস)

ই-পাসপোর্ট ফি (২০২৫ আপডেট):

ধরণ মেয়াদ ৪৮ পৃষ্ঠা ৬৪ পৃষ্ঠা
নরমাল ডেলিভারি ৫ বছর ৪,০২৫ টাকা ৬,৯০০ টাকা
এক্সপ্রেস ডেলিভারি ৫ বছর ৬,৯০০ টাকা ৮,০৫০ টাকা
সুপার এক্সপ্রেস ৫ বছর ১২,০৭৫ টাকা ১৩,৮০০ টাকা
নরমাল ডেলিভারি ১০ বছর ৫,৭৫০ টাকা ৯,২০০ টাকা
এক্সপ্রেস ডেলিভারি ১০ বছর ৮,০৫০ টাকা ১১,৫০০ টাকা
সুপার এক্সপ্রেস ১০ বছর ১৩,৮০০ টাকা ১৭,২০০ টাকা

📌 (ফি পরিবর্তন হতে পারে, তাই সর্বশেষ তথ্যের জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চেক করুন: https://www.epassport.gov.bd)

কতদিনে হাতে পাসপোর্ট পাওয়া যায়?

পাসপোর্ট কত দ্রুত পাবেন তা নির্ভর করবে ডেলিভারি টাইপ এর ওপর।

  • নরমাল ডেলিভারি → সাধারণত ২১ কর্মদিবস লাগে।

  • এক্সপ্রেস ডেলিভারি → ১০ কর্মদিবস লাগে।

  • সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি → ২–৩ কর্মদিবসের মধ্যে হাতে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।

তবে যাচাই প্রক্রিয়ায় সমস্যা হলে বা কোনো ডকুমেন্ট মিসিং থাকলে সময় বেশি লাগতে পারে।

সাধারণ ভুল ও সেগুলো এড়ানোর উপায়

অনেকেই পাসপোর্ট করার সময় ছোট ছোট ভুল করে থাকেন, যেগুলোর কারণে আবেদন বাতিল হয়ে যায় বা দেরি হয়।

  • ভুল তথ্য প্রদান – NID ও জন্মসনদে নাম বা জন্মতারিখ মেলাতে হবে।

  • ঠিকানার অমিল – NID, জন্মসনদ ও আবেদন ফরমে একই ঠিকানা থাকতে হবে।

  • অপ্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা – শুধু অফিসিয়ালভাবে যা চাওয়া হয় সেটিই জমা দিতে হবে।

  • ছবি ও স্বাক্ষরের সমস্যা – পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ছবি তোলা হয়, তাই আলাদা ছবি নিয়ে যাওয়া যাবে না।

👉 তাই আবেদনের আগে সব ডকুমেন্ট ভালোভাবে মিলিয়ে দেখা অত্যন্ত জরুরি।

পুরনো পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার নিয়ম

অনেক সময় পাসপোর্ট মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে নতুন করে আবেদন করতে হয়। তবে এটিকে সম্পূর্ণ নতুন আবেদন বলা হয় না, বরং রি-ইস্যু

কোন কোন ক্ষেত্রে রি-ইস্যু করতে হয়?

  1. পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে

  2. পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে

  3. পাসপোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে

  4. পৃষ্ঠাগুলো শেষ হয়ে গেলে

  5. ব্যক্তিগত তথ্য (নাম, ঠিকানা ইত্যাদি) পরিবর্তন করতে হলে

রি-ইস্যু করার ধাপ:

  1. ePassport অফিসিয়াল সাইটে গিয়ে Re-Issue Application সিলেক্ট করুন।

  2. পূর্ববর্তী পাসপোর্ট নম্বর এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করুন।

  3. ফি জমা দিন (ফি মূলত নতুন আবেদন ফি-এর মতোই হয়, তবে হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি লাগতে পারে)।

  4. নির্দিষ্ট তারিখে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক, ছবি ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিন।

  5. যাচাই-বাছাই শেষে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।

👉 মনে রাখবেন, হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে থানায় জিডি (General Diary) করতে হবে এবং সেটির কপি জমা দিতে হবে।

অনলাইনে পাসপোর্ট ট্র্যাকিং করার নিয়ম

পাসপোর্ট করার পর অনেকেই জানতে চান— আমার পাসপোর্ট কোথায় আছে? কখন পাব? এজন্য অনলাইনে ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু আছে।

পদ্ধতি:

  1. যান: https://www.epassport.gov.bd/track

  2. আপনার Application ID বা Delivery Slip Number লিখুন।

  3. এরপর আপনার আবেদনের বর্তমান অবস্থা দেখতে পারবেন।

এখানে দেখানো হয়—

  • আবেদন জমা হয়েছে কিনা

  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়েছে কিনা

  • পাসপোর্ট প্রিন্ট হয়েছে কিনা

  • সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত কিনা

👉 এই ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে বাসা থেকে বের না হয়েও আপনার আবেদন স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।

পাসপোর্ট করতে কি লাগে

✅ পাসপোর্ট করতে যা লাগে (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)

  1. জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) – ফটোকপি ও আসল

  2. জন্ম নিবন্ধন সনদ (যদি NID না থাকে)

  3. ঠিকানার প্রমাণপত্র – বিদ্যুৎ/গ্যাস বিল, ইউনিয়ন পরিষদ/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদ

  4. আগের পাসপোর্ট (যদি থাকে, রি-ইস্যু ক্ষেত্রে)

  5. অনলাইনে পূরণ করা আবেদন ফরম (প্রিন্ট কপি)

  6. সরকারি ফি জমাদানের রসিদ

  7. পাসপোর্ট অফিসে ছবি তোলা ও বায়োমেট্রিক (ফিঙ্গারপ্রিন্ট, স্বাক্ষর)

✅ অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য (১৮ বছরের নিচে)

  1. জন্ম নিবন্ধন সনদ

  2. অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র

  3. অভিভাবকের পাসপোর্ট (যদি থাকে)

  4. অনলাইনে পূরণ করা আবেদন ফরম (প্রিন্ট কপি)

  5. সরকারি ফি জমাদানের রসিদ

✅ অতিরিক্ত প্রয়োজন হতে পারে (বিশেষ ক্ষেত্রে)

  • জিডি কপি (পাসপোর্ট হারালে)

  • কোনো আইনি প্রমাণপত্র (তথ্য পরিবর্তন হলে)

👉 অফিসিয়াল তথ্যের জন্য ঘুরে আসতে পারেন: বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইট

পাসপোর্ট আবেদন – ধাপে ধাপে গাইডলাইন

বাংলাদেশে বর্তমানে সব ধরনের পাসপোর্ট (বিশেষ করে ই-পাসপোর্ট) আবেদন করতে হয় অনলাইনের মাধ্যমে। সরাসরি হাতে লেখা ফরম আর গ্রহণ করা হয় না। আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হলেও সঠিকভাবে না জানলে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। নিচে ধাপে ধাপে বিস্তারিত দেওয়া হলো:

ধাপ ১: অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ

👉 যান https://www.epassport.gov.bd

ধাপ ২: নতুন আবেদন শুরু

  • Apply Online এ ক্লিক করুন।

  • জেলা ও সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিস নির্বাচন করুন।

ধাপ ৩: আবেদন ফরম পূরণ

  • ব্যক্তিগত তথ্য (নাম, জন্মতারিখ, NID নম্বর)

  • বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা

  • পিতামাতা/অভিভাবকের তথ্য

  • পেশা ও অন্যান্য তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।

ধাপ ৪: ডকুমেন্ট সংযুক্তি

যদি সিস্টেম চায় তবে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মসনদ বা ঠিকানার প্রমাণপত্র স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।

ধাপ ৫: ফি জমা

  • অনলাইন পেমেন্ট (Bkash, Rocket, Nagad, কার্ড)

  • অথবা ব্যাংকে জমা দিয়ে রসিদ আপলোড করুন।

ধাপ ৬: টোকেন ও অ্যাপয়েন্টমেন্ট

ফরম সাবমিট করলে আপনি একটি Application ID ও Token Number পাবেন।
এরপর নির্দিষ্ট তারিখে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ ও স্বাক্ষর দিতে হবে।

ধাপ ৭: যাচাই-বাছাই

  • স্থানীয় থানার মাধ্যমে পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হবে।

  • তথ্য যাচাই শেষে আপনার আবেদন অনুমোদিত হবে।

ধাপ ৮: পাসপোর্ট সংগ্রহ

  • SMS বা অনলাইনে স্ট্যাটাস দেখে পাসপোর্ট রেডি হলে সংগ্রহ করুন।

  • ডেলিভারি টাইপ অনুযায়ী (Normal/Express/Super Express) সময়সীমা আলাদা।

📌 👉 গুরুত্বপূর্ণ: আবেদনের সময় দেওয়া সব তথ্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মসনদের সাথে মেলাতে হবে, নইলে আবেদন বাতিল হতে পারে।

অফিসিয়াল রেফারেন্স: Department of Immigration & Passports

পাসপোর্ট ফি – বিস্তারিত তালিকা (২০২৫ আপডেট)

বাংলাদেশে বর্তমানে কেবলমাত্র ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে। এর ফি নির্ধারণ করা হয় তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে:

  1. পৃষ্ঠার সংখ্যা (৪৮ পৃষ্ঠা বা ৬৪ পৃষ্ঠা)

  2. মেয়াদ (৫ বছর বা ১০ বছর)

  3. ডেলিভারির ধরণ (Normal, Express, Super Express)

✅ ই-পাসপোর্ট ফি (২০২৫ সালের আপডেট তালিকা):

ধরণ মেয়াদ ৪৮ পৃষ্ঠা ৬৪ পৃষ্ঠা
Normal Delivery ৫ বছর ৪,০২৫ টাকা ৬,৯০০ টাকা
Express Delivery ৫ বছর ৬,৯০০ টাকা ৮,০৫০ টাকা
Super Express Delivery ৫ বছর ১২,০৭৫ টাকা ১৩,৮০০ টাকা
Normal Delivery ১০ বছর ৫,৭৫০ টাকা ৯,২০০ টাকা
Express Delivery ১০ বছর ৮,০৫০ টাকা ১১,৫০০ টাকা
Super Express Delivery ১০ বছর ১৩,৮০০ টাকা ১৭,২০০ টাকা

✅ ডেলিভারি টাইপ অনুযায়ী সময়সীমা

  • Normal Delivery → প্রায় ২১ কর্মদিবস

  • Express Delivery → প্রায় ১০ কর্মদিবস

  • Super Express Delivery → ২–৩ কর্মদিবস

📌 গুরুত্বপূর্ণ নোট:

  • হারানো পাসপোর্টের রি-ইস্যু করতে হলে অতিরিক্ত ফি দিতে হয়।

  • সময় ও ফি পরিবর্তন হতে পারে, তাই সর্বশেষ তথ্যের জন্য অফিসিয়াল সাইটে নজর রাখুন।

👉 অফিসিয়াল সোর্স: https://www.epassport.gov.bd

পাসপোর্ট পিক – সঠিক ছবি তোলার নিয়ম

বাংলাদেশে পাসপোর্ট আবেদন করার সময় ছবি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। যেহেতু বর্তমানে ই-পাসপোর্ট সিস্টেম চালু হয়েছে, তাই আবেদনের সময় পাসপোর্ট অফিসেই ছবি তোলা হয়। তবে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের সময় ছবি আপলোড করার প্রয়োজন নেই।

তবে অনেক সময় বিভিন্ন ফরম বা অতিরিক্ত কাজে পাসপোর্ট সাইজ ছবি দিতে হয়। এজন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ছবি তুলতে হয়।

✅ পাসপোর্ট সাইজ ছবির জন্য প্রয়োজনীয় নিয়ম

  1. ছবির সাইজ → 45mm × 35mm (স্ট্যান্ডার্ড পাসপোর্ট সাইজ)

  2. পটভূমি (Background) → অবশ্যই সাদা বা হালকা সাদা

  3. মুখের ভঙ্গি → সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকাতে হবে, চোখ খোলা ও ঠোঁট বন্ধ

  4. চশমা → রঙিন বা প্রতিফলিত কাঁচের চশমা পরা যাবে না

  5. মাথা ঢাকা → ধর্মীয় কারণে অনুমোদিত হতে পারে, তবে মুখের সমস্ত অংশ দৃশ্যমান থাকতে হবে

  6. ছবির মান → হাই রেজোলিউশন, কোনো দাগ বা ছায়া ছাড়া

✅ ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে

  • অনলাইনে আবেদন করার পর নির্ধারিত তারিখে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে।

  • সেখানেই আপনার ডিজিটাল ছবি, আঙুলের ছাপ (Biometric Fingerprint) এবং স্বাক্ষর নেওয়া হবে।

  • বাইরে থেকে কোনো ছবি নিয়ে গেলে তা গ্রহণ করা হয় না।

📌 গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

  • পাসপোর্টের ছবি আজীবনের জন্য অনেক অফিসিয়াল কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই অবশ্যই পরিষ্কার পোশাকে ও পরিপাটি হয়ে ছবি তুলুন।

  • হেডশট (Face Coverage) কমপক্ষে ৭০–৮০% হতে হবে।

👉 অফিসিয়াল নির্দেশিকা দেখতে পারেন: Bangladesh ePassport Photo Requirements

পাসপোর্ট অফিস – অবস্থান ও কাজের ধরণ

বাংলাদেশে পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়ন করার কাজ করে Department of Immigration and Passports (DIP)। তাদের নিয়ন্ত্রণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাসপোর্ট অফিস রয়েছে।

✅ পাসপোর্ট অফিসের প্রধান কাজ

  1. নতুন ই-পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ

  2. পুরনো পাসপোর্ট নবায়ন (Re-issue)

  3. হারানো পাসপোর্টের পুনঃইস্যু

  4. বায়োমেট্রিক (ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, স্বাক্ষর) সংগ্রহ

  5. পাসপোর্ট ডেলিভারি প্রদান

  6. বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য কনস্যুলার সার্ভিস

✅ বাংলাদেশে প্রধান পাসপোর্ট অফিসগুলো

  • ঢাকা মহানগর অফিস – আগারগাঁও, ঢাকা

  • চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিস

  • রাজশাহী পাসপোর্ট অফিস

  • খুলনা পাসপোর্ট অফিস

  • সিলেট পাসপোর্ট অফিস

  • বরিশাল পাসপোর্ট অফিস

  • রংপুর পাসপোর্ট অফিস

এছাড়া প্রতিটি জেলা শহর ও কিছু উপজেলাতেও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস রয়েছে।

👉 বিস্তারিত তালিকা দেখতে পারেন: https://www.dip.gov.bd/

✅ পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার আগে করণীয়

  1. অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।

  2. ফি জমা দিতে হবে।

  3. নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী Appointment Slip নিয়ে যেতে হবে।

  4. আসল কাগজপত্র সঙ্গে নিতে হবে (NID, জন্মসনদ, রসিদ ইত্যাদি)।

📌 টিপস:

  • অফিসে যাওয়ার সময় ভিড় এড়াতে সকালবেলা গেলে দ্রুত কাজ করা যায়।

  • ব্রোকারদের মাধ্যমে না গিয়ে সরাসরি অফিসে কাজ করলে হয়রানি কম হয়।

পাসপোর্ট আবেদন ফরম ডাউনলোড – সম্পূর্ণ নির্দেশিকা

বাংলাদেশে বর্তমানে পাসপোর্ট (বিশেষ করে ই-পাসপোর্ট) আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে সম্পন্ন করা হয়। তাই আলাদা করে হাতে লেখা ফরম সংগ্রহ করার প্রয়োজন নেই। তবে অনেকেই এখনো খোঁজেন – “পাসপোর্ট আবেদন ফরম ডাউনলোড”। নিচে বিস্তারিত জানানো হলো:

✅ অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের ধাপ

  1. প্রবেশ করুন অফিসিয়াল সাইটে 👉 https://www.epassport.gov.bd

  2. Apply Online এ ক্লিক করুন।

  3. আপনার জেলা ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্বাচন করুন।

  4. ধাপে ধাপে তথ্য পূরণ করুন (ব্যক্তিগত, ঠিকানা, পরিবার, পেশা ইত্যাদি)।

  5. ফরম পূর্ণ হলে সাবমিট করুন।

✅ আবেদন ফরম ডাউনলোড/প্রিন্ট করার নিয়ম

  • ফরম সাবমিট করার পর একটি Application ID ও Token Number পাওয়া যাবে।

  • এরপর আপনি ফরমের একটি কপি PDF আকারে ডাউনলোড করতে পারবেন।

  • ডাউনলোড করা কপিটি প্রিন্ট করে নিতে হবে, যা পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হয়।

✅ বিশেষ টিপস

  • আবেদন ফরম অনলাইনে পূরণ না করলে পাসপোর্ট অফিসে আবেদন গ্রহণ করা হয় না।

  • যে তথ্য দেবেন, তা অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদের সাথে মিল থাকতে হবে

  • ভুল তথ্য দিলে আবেদন বাতিল বা স্থগিত হতে পারে।

👉 অফিসিয়াল ফরম ডাউনলোড ও আবেদন করার জন্য সরাসরি ভিজিট করুন:
🔗 https://www.epassport.gov.bd/

পাসপোর্ট তথ্য – যা জানা দরকার

পাসপোর্ট হলো আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য আপনার সরকারি পরিচয়পত্র। এটি আপনাকে বিদেশে প্রবেশ, রেসিডেন্সি, ভিসা এবং অন্যান্য সরকারি কাজে সাহায্য করে। পাসপোর্টের তথ্যগুলো সঠিকভাবে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

✅ পাসপোর্টে থাকা তথ্যসমূহ

  1. নাম – জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলতে হবে।

  2. জন্মতারিখ ও জন্মস্থান

  3. জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (NID)

  4. পিতামাতা/অভিভাবকের নাম

  5. ঠিকানা – স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা

  6. পাসপোর্ট নম্বর – অনন্য আইডি নম্বর

  7. পাসপোর্টের ইস্যু ও মেয়াদ শেষের তারিখ

  8. ছবি ও স্বাক্ষর – বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নেওয়া হয়

  9. পৃষ্ঠার সংখ্যা – সাধারণত ৪৮ বা ৬৪ পৃষ্ঠা

  10. ডেলিভারি টাইপ ও অফিসের নাম

✅ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • নবায়ন: মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নতুন পাসপোর্ট বা রি-ইস্যু করতে হবে।

  • হারানো পাসপোর্ট: থানায় জিডি করে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে।

  • ভিসা ও আন্তর্জাতিক ট্রাভেল: পাসপোর্টের তথ্য সবসময় ভিসার জন্য প্রয়োজন হয়।

  • পাসপোর্টের তথ্য যাচাই: অনলাইনে বা পাসপোর্ট অফিসে যাচাই করা যায়।

📌 গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

  • সব তথ্য NID ও জন্মসনদের সাথে মিলে তা নিশ্চিত করুন।

  • তথ্য ভুল হলে পাসপোর্ট বাতিল বা ডেলিভারি বিলম্বিত হতে পারে।

  • বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের জন্য অনলাইন পাসপোর্ট তথ্য যাচাই সুবিধা আছে।

👉 অফিসিয়াল তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: https://www.dip.gov.bd/

পাসপোর্ট সংশোধন অঙ্গীকারনামা – কবে এবং কীভাবে প্রয়োজন

পাসপোর্ট সংশোধন অঙ্গীকারনামা হলো একটি সরকারি নথি, যা ব্যবহার করা হয় পাসপোর্টে থাকা কোনো তথ্য পরিবর্তন বা সংশোধন করার সময়। এটি মূলত নিশ্চিত করে যে আবেদনকারী সংশোধিত তথ্যের জন্য দায়িত্ব নিচ্ছে।

✅ কখন প্রয়োজন হয়

  1. পাসপোর্টে নাম, ঠিকানা বা জন্মতারিখ ভুল থাকলে

  2. পিতামাতা/অভিভাবকের নাম পরিবর্তন বা সংশোধন করতে চাইলে

  3. হরফ বা বানান সংশোধনের জন্য

  4. বৈধ নথি (যেমন NID, জন্মসনদ) অনুযায়ী তথ্য আপডেট করতে চাইলে

✅ পাসপোর্ট সংশোধন অঙ্গীকারনামা দেওয়ার ধাপ

  1. পাসপোর্ট অফিসের অফিসিয়াল সাইট থেকে সংশোধন ফরম বা অনলাইন ফরম পূরণ করুন।

  2. আবেদন ফরমে ঠিক কোন তথ্য সংশোধন করতে চান তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।

  3. সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংযুক্তি জমা দিন (যেমন NID, জন্মসনদ, আইনি নথি)।

  4. পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে অঙ্গীকারনামা (Undertaking Letter) সই করুন।

  5. অফিস কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই শেষে সংশোধিত পাসপোর্ট ইস্যু করবে।

✅ গুরুত্বপূর্ণ টিপস

  • শুধুমাত্র সঠিক তথ্য সংশোধন করতে আবেদন করুন।

  • অঙ্গীকারনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে আইনি সমস্যা হতে পারে।

  • সংশোধনের সময় ফি লাগতে পারে, যা অফিসে জানতে হবে।

📌 অফিসিয়াল রেফারেন্স: Department of Immigration & Passports

পাসপোর্ট অফিসের মোবাইল নাম্বার – যোগাযোগের সহজ উপায়

বাংলাদেশে পাসপোর্ট সংক্রান্ত যেকোনো জিজ্ঞাসা বা সমস্যার জন্য সরাসরি পাসপোর্ট অফিসের মোবাইল নাম্বার বা হেল্পলাইন ব্যবহার করা যায়। এটি বিশেষভাবে দরকার হয়—

  • আবেদন স্ট্যাটাস জানতে

  • ভুল তথ্য সংশোধন করতে

  • ডকুমেন্ট বা ফি সংক্রান্ত প্রশ্ন করতে

✅ প্রধান পাসপোর্ট অফিসের যোগাযোগ নম্বর

জেলা অফিসের নাম মোবাইল / হেল্পলাইন
ঢাকা ঢাকা মহানগর পাসপোর্ট অফিস +880 2 8181801
চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিস +880 31 2555510
রাজশাহী রাজশাহী পাসপোর্ট অফিস +880 721 771071
খুলনা খুলনা পাসপোর্ট অফিস +880 41 726012
সিলেট সিলেট পাসপোর্ট অফিস +880 82 726011
বরিশাল বরিশাল পাসপোর্ট অফিস +880 431 64544
রংপুর রংপুর পাসপোর্ট অফিস +880 521 62424

টিপস: অফিসে কল করার সময় অফিসের কার্যঘণ্টা অনুসরণ করুন। সাধারণত সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং বিকেল ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত যোগাযোগ করা যায়।

✅ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা

  1. মোবাইল নাম্বারে শুধুমাত্র অফিসিয়াল প্রশ্ন করা উচিত।

  2. ব্যক্তিগত তথ্য বা ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য ফোনে শেয়ার করবেন না।

  3. ফোনে তথ্য পাওয়া গেলেও সবসময় অফিসে গিয়ে যাচাই করা উচিত।

👉 অফিসিয়াল তথ্যের জন্য: Department of Immigration & Passports Contact

পাসপোর্ট ডেলিভারি চেক – কিভাবে জানবেন পাসপোর্ট পৌঁছেছে কিনা

পাসপোর্ট আবেদন করার পর অনেকেই জানতে চান – “আমার পাসপোর্ট কবে ডেলিভারি হবে?”। বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট সিস্টেমের মাধ্যমে অনলাইনে সহজেই স্ট্যাটাস চেক করা যায়।

✅ অনলাইনে পাসপোর্ট ডেলিভারি চেক করার ধাপ

  1. অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন: https://www.epassport.gov.bd/track

  2. আপনার Application ID বা Token Number দিন।

  3. Captcha কোড লিখে সাবমিট করুন।

  4. আপনার পাসপোর্টের বর্তমান স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন:

    • আবেদন জমা হয়েছে কিনা

    • পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়েছে কিনা

    • প্রিন্ট হয়ে গেছে কিনা

    • সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত কিনা

✅ ডেলিভারি টাইপ অনুযায়ী সময়সীমা

ডেলিভারি টাইপ সময়সীমা
Normal Delivery ২১ কর্মদিবস
Express Delivery ১০ কর্মদিবস
Super Express Delivery ২–৩ কর্মদিবস

নোট: কোন সমস্যার কারণে যাচাই বিলম্বিত হলে ডেলিভারি সময়ও বাড়তে পারে।

✅ গুরুত্বপূর্ণ টিপস

  • ডেলিভারি চেক করার সময় Application ID / Token Number ঠিকমত ব্যবহার করুন।

  • ফোনে পাওয়া তথ্য যাচাইয়ের জন্য অফিসে গিয়ে চূড়ান্ত স্ট্যাটাস দেখুন।

  • অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক করা নরমাল, এক্সপ্রেস ও সুপার এক্সপ্রেস সকল ধরনের ডেলিভারির জন্য কার্যকর।

👉 অফিসিয়াল সোর্স: Department of Immigration & Passports – Track Passport

পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম

পাসপোর্টে যদি কোনো তথ্য ভুল থাকে—যেমন নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ বা পিতামাতার নাম—তাহলে সেটি সংশোধন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে এই প্রক্রিয়া অফিসিয়ালভাবে পাসপোর্ট অফিসের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।

✅ কোন কোন ক্ষেত্রে সংশোধন করতে হয়

  1. নাম বা বানান ভুল

  2. ঠিকানা পরিবর্তন

  3. জন্মতারিখ সংশোধন

  4. পিতামাতা/অভিভাবকের তথ্য পরিবর্তন

  5. পাসপোর্টের অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য আপডেট

✅ পাসপোর্ট সংশোধনের ধাপ

  1. অনলাইনে আবেদন করুন

    • অফিসিয়াল সাইটে যান: https://www.epassport.gov.bd

    • সংশোধনের জন্য “Correction / Update” অপশন নির্বাচন করুন।

  2. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিন

    • NID বা জন্মসনদ (যা তথ্যের সাথে সম্পর্কিত)

    • পিতামাতা/অভিভাবকের তথ্য পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় সাপোর্টিং ডকুমেন্ট

    • হারানো বা ক্ষতিগ্রস্ত পাসপোর্ট হলে তার কপি

  3. অঙ্গীকারনামা (Undertaking Letter) জমা দিন

    • অফিসে গিয়ে আবেদনকারী স্বাক্ষর করবে যে, দেওয়া তথ্য সত্য এবং সঠিক।

  4. ফি জমা দিন

    • সংশোধনের ধরন অনুযায়ী ফি ভিন্ন হতে পারে।

  5. বায়োমেট্রিক ও ছবি যাচাই

    • যদি প্রয়োজন হয়, নতুন ছবি বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে।

  6. সংশোধিত পাসপোর্ট ইস্যু

    • অফিস কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই শেষে সংশোধিত পাসপোর্ট ইস্যু করবে।

✅ গুরুত্বপূর্ণ টিপস

  • সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।

  • মিথ্যা তথ্য দিলে আইনি সমস্যা হতে পারে।

  • সংশোধন আবেদন করার পর অনলাইনে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন।

📌 অফিসিয়াল রেফারেন্স: Department of Immigration & Passports

পাসপোর্ট নবায়ন – নিয়ম ও ধাপ

পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা পাসপোর্টের পৃষ্ঠা শেষ হয়ে গেলে নবায়ন (Renewal) করা বাধ্যতামূলক। নবায়ন প্রক্রিয়া পুরনো পাসপোর্টকে পুনঃইস্যু করার মতো হলেও এটি কিছু ধাপের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।

✅ কখন পাসপোর্ট নবায়ন করতে হয়

  1. পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে

  2. পৃষ্ঠাগুলো শেষ হয়ে গেলে

  3. পাসপোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে

  4. তথ্য পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে (নাম, ঠিকানা ইত্যাদি)

✅ পাসপোর্ট নবায়নের ধাপ

  1. অনলাইনে আবেদন করুন

    • অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: https://www.epassport.gov.bd

    • “Re-Issue / Renewal” অপশন নির্বাচন করুন।

  2. ডকুমেন্ট সংযুক্তি

    • পুরনো পাসপোর্ট (যদি থাকে)

    • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)

    • জন্মনিবন্ধন (যদি NID না থাকে)

    • প্রয়োজনীয় ফি জমার রসিদ

  3. ফি জমা

    • নবায়নের জন্য নির্ধারিত ফি অফিসিয়াল সাইটে দেওয়া থাকে।

    • ডেলিভারি টাইপ অনুযায়ী ফি পরিবর্তিত হতে পারে।

  4. বায়োমেট্রিক ও ছবি যাচাই

    • অফিসে গিয়ে নতুন ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও স্বাক্ষর দিতে হবে।

  5. পুলিশ ভেরিফিকেশন

    • আবেদনকারী ঠিকানা অনুযায়ী স্থানীয় থানার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হয়।

  6. নবায়িত পাসপোর্ট ইস্যু

    • সব যাচাই সম্পন্ন হলে অফিস থেকে নবায়িত পাসপোর্ট প্রদান করা হয়।

✅ গুরুত্বপূর্ণ টিপস

  • মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নবায়ন করলে বিদেশে ভ্রমণে সমস্যা কম হয়।

  • অনলাইনে আবেদন করলে দ্রুত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

  • হারানো বা ক্ষতিগ্রস্ত পাসপোর্টের জন্য আলাদা প্রক্রিয়া এবং অতিরিক্ত ফি থাকতে পারে।

📌 অফিসিয়াল রেফারেন্স: Department of Immigration & Passports

পাসপোর্ট আবেদন নিয়ম বাংলাদেশ

বাংলাদেশে পাসপোর্ট আবেদনের নিয়ম এখন বেশ সহজ। আবেদনকারীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। প্রাথমিকভাবে, আবেদন ফরম পূরণ, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড এবং ফি জমা করা প্রয়োজন। আবেদন করার পর নির্ধারিত তারিখে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক ও ছবি যাচাই করতে হয়। সঠিক ধাপ মেনে চললে পাসপোর্ট দ্রুত পাওয়া সম্ভব।

পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

পাসপোর্ট আবেদনের জন্য সাধারণত যা যা প্রয়োজন:

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)

  • জন্মনিবন্ধন সনদ

  • ঠিকানার প্রমাণপত্র

  • পূর্বের পাসপোর্ট (যদি থাকে)

  • ফি জমার রসিদ
    এই ডকুমেন্টগুলো প্রস্তুত থাকলে আবেদন প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়।

পাসপোর্ট ছবি তৈরির নিয়ম

পাসপোর্ট ছবির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম আছে:

  • সাইজ: 45mm × 35mm

  • পটভূমি: সাদা

  • মুখের ভঙ্গি: সরাসরি ক্যামেরার দিকে, চোখ খোলা, ঠোঁট বন্ধ

  • চশমা বা হেডকভার কেবল নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অনুমোদিত

  • ছবিতে কোনো ছায়া বা দাগ থাকা চলবে না
    এই নিয়মগুলো মেনে ছবি নিলে পাসপোর্ট প্রক্রিয়া ঝামেলামুক্ত হয়।

পাসপোর্ট ইস্যু সময়কাল

সাধারণভাবে পাসপোর্ট ইস্যু হওয়ার সময়কাল:

  • Normal: ৭–১০ কার্যদিবস

  • Express: ৩–৫ কার্যদিবস

  • Super Express: ১–৩ কার্যদিবস
    অফিসের ব্যস্ততা ও ডকুমেন্ট যাচাইয়ের উপর সময়কাল কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।

পাসপোর্ট আবেদন স্থগিত হওয়ার কারণ

কিছু কারণে পাসপোর্ট আবেদন স্থগিত হতে পারে:

  • ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য

  • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট অনুপস্থিত

  • পূর্বের অপরিশোধিত ফি

  • নিরাপত্তা যাচাই সমস্যা
    যাচাই-প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত আবেদন স্থগিত থাকে।

পাসপোর্ট আবেদন দ্রুত করার উপায়

আপনি চাইলে পাসপোর্ট আবেদন দ্রুত করতে পারেন:

  • অনলাইনে পূর্ণ আবেদন ফরম সাবমিট করা

  • ফি অনলাইন পেমেন্ট ব্যবহার করা

  • অফিসে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত থাকা

  • প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট আগে থেকে প্রস্তুত রাখা

অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন যাচাই

অনলাইনে আবেদন করার পরে আবেদনকারীরা তাদের স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন:

  1. ওয়েবসাইটে যান: https://www.epassport.gov.bd/track

  2. Application ID বা Token Number প্রবেশ করুন

  3. আবেদন স্ট্যাটাস দেখুন: জমা হয়েছে, যাচাই হয়েছে, প্রিন্ট হয়েছে, বা সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত

পাসপোর্ট ফি জমা পদ্ধতি

ফি জমার পদ্ধতি:

  • অনলাইন ব্যাংকিং বা বিকাশ/নগদ ই-ওয়ালেট

  • অফিসে ক্যাশ বা ব্যাংক চেক
    ফি জমার পরে রসিদ সংগ্রহ করা জরুরি, যা পাসপোর্ট সংগ্রহের সময় দেখাতে হবে।

পাসপোর্ট আবেদন হেল্পলাইন

পাসপোর্ট সংক্রান্ত সমস্যায় সহায়তার জন্য অফিসিয়াল হেল্পলাইন:

  • ঢাকা: +880 2 8181801

  • চট্টগ্রাম: +880 31 2555510

  • অন্যান্য জেলা অফিসের তথ্য: DIP – Bangladesh
    আপনার প্রশ্ন বা সমস্যা সরাসরি ফোন বা ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করে সমাধান করতে পারেন।

বিদেশ ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট প্রস্তুতি

বিদেশ ভ্রমণের আগে পাসপোর্ট প্রস্তুতি:

  • মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাস আগে নবায়ন করুন

  • নতুন ছবি ও ডকুমেন্ট আপডেট করুন

  • ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখুন
    সঠিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করলে যাত্রা ঝামেলামুক্ত হয়।

পাসপোর্ট নবায়ন প্রক্রিয়া

নবায়ন প্রক্রিয়া:

  1. অনলাইনে “Re-Issue / Renewal” নির্বাচন করুন

  2. পুরনো পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন

  3. ফি জমা দিন

  4. অফিসে ছবি ও বায়োমেট্রিক যাচাই করুন

  5. নবায়িত পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন

পাসপোর্ট সংশোধন আবেদন ধাপ

সংশোধনের জন্য ধাপসমূহ:

  • অনলাইনে “Correction / Update” নির্বাচন করুন

  • ভুল তথ্য সংশোধন করুন

  • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন

  • অফিসে অঙ্গীকারনামা জমা দিন

  • যাচাই শেষে সংশোধিত পাসপোর্ট ইস্যু হয়

পাসপোর্ট অফিস যোগাযোগ তথ্য

বাংলাদেশে প্রধান পাসপোর্ট অফিস:

  • ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর

  • অফিসের ফোন নম্বর এবং ঠিকানা: DIP – Bangladesh
    সরাসরি যোগাযোগ করলে সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়।

পাসপোর্ট ডেলিভারি সময়

ডেলিভারি টাইপ অনুযায়ী সময়কাল:

  • Normal: ৭–১০ কার্যদিবস

  • Express: ৩–৫ কার্যদিবস

  • Super Express: ১–৩ কার্যদিবস
    স্ট্যাটাস অনলাইনে চেক করে ডেলিভারি ট্র্যাক করতে পারেন।

নতুন পাসপোর্ট নিয়ম ২০২৫

২০২৫ সালে নতুন নিয়মাবলী অন্তর্ভুক্ত:

  • অনলাইনে আবেদন বাধ্যতামূলক

  • বায়োমেট্রিক ও ছবি যাচাই অপরিহার্য

  • অনলাইনে ফি পেমেন্ট সুবিধা

  • ডেলিভারি টাইমলাইন স্বচ্ছ ও দ্রুত
    নতুন নিয়ম মেনে আবেদন করলে ঝামেলা কম হয়।

পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রশ্ন-উত্তর

১. পাসপোর্ট করতে কি লাগে?

উত্তর: পাসপোর্ট করতে প্রয়োজন:

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)

  • জন্মনিবন্ধন সনদ (যদি NID না থাকে)

  • ঠিকানার প্রমাণপত্র

  • আগের পাসপোর্ট (রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে)

  • অনলাইনে পূরণ করা আবেদন ফরম

  • সরকারি ফি জমার রসিদ

  • পাসপোর্ট অফিসে ছবি ও বায়োমেট্রিক যাচাই

অফিসিয়াল সূত্র: Bangladesh ePassport

২. পাসপোর্ট আবেদন কিভাবে করতে হয়?

উত্তর:

  1. ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।

  2. Apply Online এ ক্লিক করুন ও জেলা নির্বাচন করুন।

  3. ফরমে ব্যক্তিগত ও ঠিকানার তথ্য পূরণ করুন।

  4. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন।

  5. ফি জমা দিন এবং টোকেন/আবেদন আইডি সংগ্রহ করুন।

  6. নির্ধারিত তারিখে পাসপোর্ট অফিসে ছবি ও বায়োমেট্রিক জমা দিন।

৩. পাসপোর্ট ফি কত?

উত্তর:

  • Normal Delivery (৫ বছর) → ৪,০২৫ – ৬,৯০০ টাকা

  • Express Delivery (৫ বছর) → ৬,৯০০ – ৮,০৫০ টাকা

  • Super Express (৫ বছর) → ১২,০৭৫ – ১৩,৮০০ টাকা

  • Normal Delivery (১০ বছর) → ৫,৭৫০ – ৯,২০০ টাকা

  • Express ও Super Express অনুযায়ী সময় ও ফি ভিন্ন।

বিস্তারিত: ePassport Fee

৪. পাসপোর্ট পিক (ছবি) কেমন হতে হবে?

উত্তর:

  • সাইজ: 45mm × 35mm

  • পটভূমি: সাদা

  • মুখের ভঙ্গি: সরাসরি ক্যামেরার দিকে, চোখ খোলা, ঠোঁট বন্ধ

  • চশমা/মাথা ঢাকা: নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অনুমোদিত

  • হাই রেজোলিউশন, কোনো ছায়া বা দাগ ছাড়া

অফিসিয়াল নির্দেশিকা: ePassport Photo

৫. পাসপোর্ট অফিস কোথায় আছে?

উত্তর:
বাংলাদেশে প্রধান পাসপোর্ট অফিস:

  • ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর

  • প্রতিটি জেলাতেও আঞ্চলিক অফিস আছে।

অফিসিয়াল তালিকা: DIP

৬. পাসপোর্ট আবেদন ফরম ডাউনলোড কিভাবে হবে?

উত্তর:

  • অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করুন।

  • ফরম সাবমিট করার পর Application ID পাবেন।

  • PDF কপি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করুন।

৭. পাসপোর্ট তথ্য কি কি থাকে?

উত্তর:

  • নাম, জন্মতারিখ, জন্মস্থান, পিতামাতার নাম

  • ঠিকানা, পাসপোর্ট নম্বর, ইস্যু ও মেয়াদ শেষের তারিখ

  • ছবি, স্বাক্ষর, পৃষ্ঠার সংখ্যা, ডেলিভারি টাইপ

৮. পাসপোর্ট সংশোধন অঙ্গীকারনামা কবে লাগে?

উত্তর:

  • পাসপোর্টে তথ্য ভুল থাকলে (নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ)

  • সংশোধনের জন্য অফিসে Undertaking Letter জমা দিতে হয়

  • সমস্ত ডকুমেন্ট যাচাইয়ের পর সংশোধন ইস্যু করা হয়

৯. পাসপোর্ট অফিসের মোবাইল নাম্বার কী?

উত্তর:

জেলা অফিস মোবাইল
ঢাকা ঢাকা মহানগর +880 2 8181801
চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম অফিস +880 31 2555510
রাজশাহী রাজশাহী অফিস +880 721 771071
খুলনা খুলনা অফিস +880 41 726012
সিলেট সিলেট অফিস +880 82 726011
বরিশাল বরিশাল অফিস +880 431 64544
রংপুর রংপুর অফিস +880 521 62424

১০. পাসপোর্ট ডেলিভারি চেক কিভাবে করবেন?

উত্তর:

  1. ওয়েবসাইটে যান: https://www.epassport.gov.bd/track

  2. Application ID বা Token Number দিন

  3. CAPTCHA পূরণ করে Submit করুন

  4. স্ট্যাটাস দেখুন: জমা হয়েছে, যাচাই হয়েছে, প্রিন্ট হয়েছে বা সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত

১১. পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম কী?

উত্তর:

  • অনলাইনে “Correction / Update” অপশন নির্বাচন করুন

  • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন

  • অফিসে গিয়ে অঙ্গীকারনামা স্বাক্ষর করুন

  • ফি জমা দিন

  • যাচাই-বাছাই শেষে সংশোধিত পাসপোর্ট ইস্যু হবে

১২. পাসপোর্ট নবায়ন কিভাবে করবেন?

উত্তর:

  • মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে নবায়ন আবেদন করুন

  • অনলাইনে “Re-Issue / Renewal” অপশন নির্বাচন করুন

  • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও ফি জমা দিন

  • ছবি ও বায়োমেট্রিক যাচাই সম্পন্ন করুন

  • নবায়িত পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে

💡 টিপস:

  • সব তথ্য সঠিকভাবে দিন, ভুল তথ্য দিলে আবেদন বাতিল হতে পারে।

  • অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক করলে পাসপোর্টের সকল আপডেট পাওয়া যায়।

  • অফিসিয়াল সাইট: DIP – Bangladesh

উপসংহার

পাসপোর্ট হলো বিদেশে যাত্রা ও আন্তর্জাতিক পরিচয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। বাংলাদেশের বর্তমান ই-পাসপোর্ট প্রক্রিয়ার কারণে, যারা প্রথমবার আবেদন করছেন তাদের জন্য পাসপোর্ট করার নিয়ম সঠিকভাবে মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। অনলাইনে আবেদন করা, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করা, নির্ধারিত ফি জমা, ছবি ও বায়োমেট্রিক যাচাই—এই সব ধাপ ঠিকভাবে মানলে আপনার পাসপোর্ট দ্রুত এবং ঝামেলাহীনভাবে পাওয়া যায়।

এই ব্লগে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি পাসপোর্ট আবেদন, ফি, ছবি, অফিসের ঠিকানা, ডেলিভারি চেক, সংশোধন এবং নবায়নের ধাপ। তাই পড়ার পর আপনি সহজেই সব নিয়ম বুঝতে পারবেন এবং কোনো ভুল ছাড়াই আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।

সতর্কতা: সব তথ্য অবশ্যই অফিসিয়াল সোর্স অনুযায়ী যাচাই করে পূরণ করুন। ভুল তথ্য দিলে আবেদন বাতিল বা বিলম্ব হতে পারে।

সর্বশেষে মনে রাখুন, সঠিক তথ্য এবং ধাপে ধাপে অনুসরণ করাই পাসপোর্ট করার নিয়মের মূল চাবিকাঠি।

আপনি কি এখনই নিজের পাসপোর্ট করতে যাচ্ছেন? তাহলে পাসপোর্ট করার নিয়ম সঠিকভাবে মেনে আজই অনলাইনে আবেদন করুন! অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় ফরম পূরণ করুন, ডকুমেন্ট আপলোড করুন এবং দ্রুত পাসপোর্ট নিশ্চিত করুন।

➡ এখানে ক্লিক করে আবেদন করুন

সতর্কীকরণ বার্তা

এই ব্লগ পোস্টে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র শিক্ষামূলক ও সাধারণ নির্দেশনার জন্য দেওয়া হয়েছে। যদিও আমরা চেষ্টা করেছি সকল তথ্য সঠিক এবং অফিসিয়াল সূত্র অনুযায়ী প্রদান করতে, তবুও পাসপোর্ট করার নিয়ম পরিবর্তিত হতে পারে বা নির্দিষ্ট জেলা বা অফিস অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।

পাঠকদের উত্সাহিত করা হচ্ছে যে তারা পাসপোর্ট আবেদন বা সংশোধন/নবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করার আগে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://www.epassport.gov.bd) থেকে সর্বশেষ তথ্য যাচাই করুন। কোনো ভুল তথ্য বা প্রক্রিয়া না মানার ফলে যে কোনো সমস্যা, বিলম্ব বা আইনগত জটিলতার জন্য আমরা দায়ী নয়।

সর্বদা অফিসিয়াল নির্দেশিকা অনুসরণ করুন এবং প্রয়োজনে পাসপোর্ট অফিসের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 

গুগল নিউজে Multiseen সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন

প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-

পাসপোর্ট সাইজ ছবির মাপ: বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক গাইড

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার সহজ উপায়

ভোটার আইডি কার্ড যাচাই ২০২৫: অনলাইন ও অফলাইন পূর্ণ গাইড

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আমি আমির হোসাইন, পেশায় একজন চাকরিজীবী এবং এই ওয়েবসাইটের এডমিন। চাকরির পাশাপাশি গত ১ বছর ধরে আমি আমার নিজস্ব ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করছি এবং নিজস্ব ইউটিউব ও ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্ট তৈরি করছি। বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমার লেখায় যদি কোনও ভুল থেকে থাকে, অনুগ্রহ করে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply