পাসপোর্ট সাইজ ছবির মাপ: বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক গাইড

পাসপোর্ট সাইজ ছবির মাপ সঠিক না হলে আবেদন বাতিল হতে পারে—তাই নিয়ম জেনে নিন আজই।

আজকের ডিজিটাল যুগে পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ভিসা কিংবা যেকোনো সরকারি বা প্রাতিষ্ঠানিক কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত জিনিসগুলোর একটি হলো পাসপোর্ট সাইজ ছবির মাপ। স্কুল-কলেজে ভর্তি থেকে শুরু করে চাকরির আবেদন, বিদেশ ভ্রমণের জন্য ভিসা প্রসেসিং, এমনকি অনলাইন ফর্ম পূরণ—সব ক্ষেত্রেই সঠিক ছবির মাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, বিভিন্ন দেশে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট ছবির নির্দিষ্ট সাইজ আলাদা হতে পারে। ফলে ভুল মাপের ছবি জমা দিলে আবেদন বাতিল হওয়া, সময় নষ্ট হওয়া কিংবা অতিরিক্ত খরচের সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই পাসপোর্ট সাইজ ছবির সঠিক মাপ, রেজোলিউশন, ব্যাকগ্রাউন্ড এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন জানা প্রত্যেকের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

পোস্ট সূচীপত্র

পাসপোর্ট সাইজ ছবির মাপ কী?

সাধারণভাবে, বাংলাদেশসহ বেশিরভাগ দেশে পাসপোর্ট সাইজ ছবি বলতে ২ ইঞ্চি × ২ ইঞ্চি (অর্থাৎ 51mm × 51mm) বোঝায়। তবে দেশ ও প্রয়োজনে এই মাপে ভিন্নতা থাকতে পারে।

📌 উদাহরণস্বরূপ:

  • বাংলাদেশ: 45mm × 35mm (NID / কিছু সরকারি ফর্মে ব্যবহৃত) 
  • ভারত: 51mm × 51mm (ভিসা ও পাসপোর্টের জন্য) 
  • যুক্তরাষ্ট্র (US Passport): 2×2 ইঞ্চি (51mm × 51mm) 
  • ইউরোপীয় দেশসমূহ (শেনজেন ভিসা): 45mm × 35mm 

🔗 অফিসিয়াল সাইজের জন্য বাংলাদেশ সরকারের ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন: Bangladesh ePassport Official

কেন সঠিক পাসপোর্ট সাইজ ছবির মাপ জানা জরুরি?

  1. ভুল সাইজ হলে আবেদন বাতিল হতে পারে। 
  2. অনেক দেশে ভিসার জন্য নির্দিষ্ট ব্যাকগ্রাউন্ড ও মাপের নিয়ম রয়েছে। 
  3. অনলাইনে ফর্ম সাবমিশনে নির্দিষ্ট রেজোলিউশন (dpi) দরকার হয়। 
  4. সঠিক মাপ ব্যবহার করলে ছবি সহজে স্ক্যান ও ভেরিফাই করা যায়। 

বাংলাদেশের পাসপোর্ট সাইজ ছবির নিয়ম

বাংলাদেশে পাসপোর্ট, ভিসা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য ছবির মাপ ও ফরম্যাট কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।

সাধারণ নিয়মাবলি:

  • মাপ: 45mm × 35mm 
  • ব্যাকগ্রাউন্ড: সাদা বা হালকা রঙ 
  • রেজোলিউশন: অন্তত 300 dpi 
  • মাথার সাইজ: ছবির 70–80% অংশ 
  • চশমা / টুপি এড়িয়ে চলা (ধর্মীয় কারণে হলে ব্যতিক্রম) 

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পাসপোর্ট ছবির মাপ

দেশ / সংস্থা মাপ ব্যাকগ্রাউন্ড বিশেষ নিয়ম
বাংলাদেশ 45mm × 35mm সাদা কানে দেখা যেতে হবে
ভারত 51mm × 51mm সাদা 80% মুখ দৃশ্যমান
যুক্তরাষ্ট্র (US) 2×2 ইঞ্চি সাদা চশমা পরা যাবে না
যুক্তরাজ্য (UK) 45mm × 35mm হালকা সাদা মুখে ছায়া থাকা যাবে না
শেনজেন ভিসা 45mm × 35mm হালকা সাদা একরঙা ব্যাকগ্রাউন্ড

🔗 শেনজেন ভিসার ছবি সম্পর্কিত অফিসিয়াল গাইডলাইন: EU Visa Photo Requirements

পাসপোর্ট সাইজ ছবির ডিজিটাল মাপ

শুধু প্রিন্ট নয়, অনলাইনে ছবি জমা দেওয়ার সময় সঠিক পিক্সেল সাইজ মেনে চলা জরুরি।

  • 600 × 600 পিক্সেল (US Standard) 
  • 827 × 1063 পিক্সেল (EU Standard) 
  • সর্বনিম্ন 300 dpi (resolution) 

পাসপোর্ট সাইজ ছবি তোলার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

  1. আলো: ছবিতে মুখে ছায়া যেন না পড়ে। 
  2. ব্যাকগ্রাউন্ড: সাদা বা হালকা ধূসর হতে হবে। 
  3. অবস্থান: মুখ ক্যামেরার দিকে সোজা থাকতে হবে। 
  4. হাসি / অভিব্যক্তি: হালকা স্বাভাবিক চেহারা রাখতে হবে। 
  5. ক্লিন ফেস: চশমা বা অতিরিক্ত মেকআপ এড়িয়ে চলা ভালো। 

বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পাসপোর্ট ছবির মাপ

  • বাংলাদেশ পাসপোর্ট: 45mm × 35mm 
  • ভিসা আবেদন: দেশভেদে ভিন্ন (US – 2×2 inch, UK/EU – 45mm × 35mm) 
  • NID কার্ড / জন্ম নিবন্ধন: 300 × 300 পিক্সেল (ডিজিটাল) 
  • অনলাইন ফর্ম: 300 dpi এবং ফাইল সাইজ সাধারণত 100 KB–200 KB 

পাসপোর্ট ছবি প্রিপারেশন টিপস

পাসপোর্ট বা ভিসার জন্য ছবি প্রস্তুত করা অনেক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। সঠিকভাবে ছবি প্রিপেয়ার করা না হলে আবেদন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পাসপোর্ট ছবি প্রিপারেশন টিপস দেওয়া হলো:

১. সঠিক ব্যাকগ্রাউন্ড নির্বাচন করুন

ছবির পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা বা হালকা রঙের হওয়া উচিত। কোনো ডিজাইন, শেডো বা প্যাটার্ন থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

২. আলো এবং ফ্ল্যাশ ব্যবহার

ছবিতে মুখের ছায়া বা অতিরিক্ত আলো থাকা চলবে না। প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করলে ছবি অনেক বেশি পরিষ্কার হয়।

৩. মুখ এবং হেড পজিশন

  • মুখ সরাসরি ক্যামেরার দিকে থাকতে হবে।
  • চোখ খোলা থাকতে হবে।
  • মুখ এবং মাথার আকার ছবির প্রায় ৭০–৮০% অংশে দেখা উচিত।

৪. অভিব্যক্তি ও হাসি

পাসপোর্ট ছবিতে সাধারণ বা স্বাভাবিক অভিব্যক্তি রাখুন। হাসতে হলে হালকা, দাঁত দেখা যাবে না।

৫. পোশাক এবং হিজাব/টুপি

  • সাধারণ পোশাক ব্যবহার করুন।
  • ধর্মীয় কারণে হিজাব পরা যাবে, তবে মুখ স্পষ্ট থাকতে হবে।
  • চশমা বা সানগ্লাস ব্যবহার করা যাবে না।

৬. রেজোলিউশন এবং ফাইল ফরম্যাট

  • অনলাইনে ছবি জমা দেওয়ার জন্য 300 dpi বা তার বেশি রেজোলিউশন রাখুন।
  • ফাইল ফরম্যাট: সাধারণত JPEG বা PNG
  • ফাইল সাইজ: 100 KB–200 KB এর মধ্যে রাখা ভালো।

৭. মোবাইল বা ক্যামেরা ব্যবহার

মোবাইল ফোন দিয়েও ছবি তোলা সম্ভব। তবে সঠিক লাইট, ব্যাকগ্রাউন্ড এবং মুখের পজিশন নিশ্চিত করতে হবে। অনলাইনে ক্রপিং টুল ব্যবহার করে সাইজ ঠিক করা যেতে পারে।

৮. চূড়ান্ত যাচাই

ছবিটি জমা দেওয়ার আগে সব নিয়ম অনুসারে চেক করুন:

  • সঠিক সাইজ ও ব্যাকগ্রাউন্ড
  • মুখের স্পষ্টতা
  • ফাইল ফরম্যাট ও সাইজ

অনলাইনে পাসপোর্ট ছবি ক্রপ করা

আজকের ডিজিটাল যুগে, পাসপোর্ট বা ভিসার জন্য ছবি ক্রপ করা আর শুধু স্টুডিওর কাজ নয়। অনেকেই অনলাইনে পাসপোর্ট ছবি ক্রপ করা সুবিধা ব্যবহার করে থাকে, যা দ্রুত, সহজ এবং সঠিক মাপের ছবি নিশ্চিত করে। এখানে বিস্তারিত ধাপ দেওয়া হলো:

১. সঠিক অনলাইন টুল নির্বাচন

অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট বা অ্যাপ আছে যা পাসপোর্ট ছবি ক্রপ করতে সাহায্য করে। কিছু জনপ্রিয় টুল হলো:

  • 123PassportPhoto 
  • IDPhoto4You 
  • MakePassportPhoto 

টিপ: সরকারি বা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া ছবি ক্রপিং নির্দেশিকা অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

২. ছবি আপলোড করা

  • প্রথমে আপনার ছবি আপলোড করুন। 
  • নিশ্চিত করুন যে ছবি সরাসরি ক্যামেরার দিকে মুখ এবং আলো সঠিক। 
  • ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা বা হালকা রঙের হতে হবে। 

৩. ক্রপিং মাপ নির্ধারণ

  • বাংলাদেশে সাধারণত 45mm × 35mm 
  • আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট বা ভিসার ক্ষেত্রে মাপ ভিন্ন হতে পারে (যেমন US – 2×2 inch, EU – 45mm × 35mm)। 
  • অনলাইন টুল সাধারণত স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাপ ঠিক করে দেয়। 

৪. মুখের অবস্থান ও ফিট

  • ছবির মধ্যে মুখ এবং চোখ কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। 
  • মাথা থেকে চিবুক পর্যন্ত মুখের অংশ প্রায় ৭০–৮০% ছবি দখল করবে। 
  • চোখ খোলা, মুখ নিরপেক্ষ বা হালকা অভিব্যক্তি সহ থাকা আবশ্যক। 

৫. ফাইল ফরম্যাট ও সাইজ

  • ক্রপ করার পরে ছবির ফাইল ফরম্যাট JPEG বা PNG রাখুন। 
  • অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য ফাইল সাইজ 100–200 KB সীমার মধ্যে রাখুন। 
  • কিছু ওয়েবসাইট স্বয়ংক্রিয়ভাবে DPI বা রেজোলিউশন ঠিক করে দেয়। 

৬. চূড়ান্ত ডাউনলোড এবং যাচাই

  • ক্রপ করা ছবিটি ডাউনলোড করার আগে নিশ্চিত করুন: 
    • সঠিক সাইজ এবং রেজোলিউশন আছে কিনা 
    • মুখের স্পষ্টতা ঠিক আছে কিনা 
    • ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা বা হালকা রঙের 
  • ছবি যাচাই হয়ে গেলে আপনি তা পাসপোর্ট, ভিসা বা NID ফর্ম-এ ব্যবহার করতে পারবেন। 

এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে মোবাইল বা ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবিও সহজেই সরকারি মান অনুযায়ী ক্রপ করা সম্ভব এবং আবেদন বাতিল হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

পাসপোর্ট ফটো ব্যাকগ্রাউন্ড কালার

পাসপোর্ট বা ভিসার জন্য ছবি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ব্যাকগ্রাউন্ড কালার একদম গুরুত্বপূর্ণ। ভুল ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করলে ছবি বাতিল হতে পারে। এখানে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো:

১. সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যাকগ্রাউন্ড

  • বাংলাদেশে সাধারণত সাদা বা হালকা ধূসর ব্যাকগ্রাউন্ড গ্রহণযোগ্য। 
  • আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট বা ভিসার জন্যও বেশিরভাগ দেশের নির্দেশিকা সাদা বা হালকা রঙের ব্যাকগ্রাউন্ডই ব্যবহার করতে বলে। 
  • কোনো ধরণের প্যাটার্ন, শেডো বা ডিজাইন থাকা যাবে না। 

২. হালকা রঙের বিকল্প

  • কিছু দেশে হালকা নীল বা ক্রিম রঙের ব্যাকগ্রাউন্ড অনুমোদিত। 
  • তবে সবসময় অফিসিয়াল গাইডলাইন যাচাই করা জরুরি। 

🔗 অফিসিয়াল উদাহরণ: US Passport Photo Requirements

৩. ব্যাকগ্রাউন্ডে ছায়া এড়ানো

  • ছবি তোলার সময় যথাযথ আলো ব্যবহার করুন। 
  • মুখ বা কাঁধের চারপাশে ছায়া না পড়ার দিকে খেয়াল রাখুন। 
  • প্রাকৃতিক আলো বা সফট লাইট সবচেয়ে ভালো কাজ করে। 

৪. হিজাব বা ধর্মীয় পোশাকের ক্ষেত্রে

  • ধর্মীয় কারণে হিজাব পরা যায়, তবে মুখ এবং গলার অংশ স্পষ্ট থাকতে হবে। 
  • ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই একইভাবে সাদা বা হালকা রঙের হতে হবে। 

৫. মোবাইল বা অনলাইন ক্রপিং-এর সময়

  • ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙ ঠিক করা অনলাইনে সহজ। 
  • অনেক অনলাইন টুল স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ ও পরিবর্তন করার সুবিধা দেয়। 

টিপস:

  • সর্বদা ছবি জমা দেওয়ার আগে অফিসিয়াল ব্যাকগ্রাউন্ড নির্দেশিকা যাচাই করুন। 
  • ভুল ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে আবেদন বাতিল হলে পুনরায় ছবি তোলার প্রয়োজন হতে পারে।

 

পাসপোর্ট ছবি ফাইল ফরম্যাট (JPEG/PNG)

পাসপোর্ট বা ভিসার জন্য ছবি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে শুধু সাইজ বা ব্যাকগ্রাউন্ড নয়, ফাইল ফরম্যাটও গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ফাইল ফরম্যাট না হলে অনলাইন জমা দেওয়ার সময় সমস্যা হতে পারে। এখানে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো:

১. JPEG ফরম্যাট

  • সবচেয়ে জনপ্রিয় ফরম্যাট হলো JPEG 
  • কম্প্রেশন সুবিধা থাকায় ফাইল সাইজ ছোট হয় এবং ছবি গুণগত মান ঠিক থাকে। 
  • অনলাইনে জমা দেওয়ার সময় অধিকাংশ সরকারি ওয়েবসাইট JPEG ফরম্যাটকে সমর্থন করে। 

২. PNG ফরম্যাট

  • PNG ফরম্যাটে ছবি সাধারণত আরও ক্লিয়ার থাকে এবং ট্রান্সপারেন্ট ব্যাকগ্রাউন্ড সমর্থিত। 
  • তবে সরকারি বা অনলাইন ফর্মে PNG ফরম্যাট সবসময় সমর্থিত নাও হতে পারে। 
  • যদি ব্যাকগ্রাউন্ড স্বচ্ছ না হয়, PNG ব্যবহার করা যেতে পারে। 

৩. ফাইল সাইজ সীমা

  • অনলাইনে ছবি জমা দেওয়ার জন্য ফাইল সাইজ সাধারণত 100 KB – 200 KB রাখা হয়। 
  • বড় ফাইল জমা দিলে আপলোডে সমস্যা হতে পারে। 
  • কম্প্রেশন করে মান বজায় রেখে ফাইল সাইজ কমানো গুরুত্বপূর্ণ। 

৪. রেজোলিউশন (DPI)

  • ছবি সর্বদা 300 dpi বা তার বেশি রেজোলিউশন থাকা উচিত। 
  • এতে ছবি প্রিন্ট করলে স্পষ্ট থাকে এবং স্ক্যানিং-এর সময়ও মান বজায় থাকে। 

৫. মোবাইল বা ক্যামেরা থেকে ছবি সংরক্ষণ

  • মোবাইল বা ক্যামেরা দিয়েও ছবি তোলা যায়, তবে সঠিক ফরম্যাটে JPEG/PNG সংরক্ষণ করতে হবে। 
  • অনলাইন টুল বা ফটো এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে ফাইল ফরম্যাট পরিবর্তন করা সম্ভব। 

সারসংক্ষেপ:
সঠিক ফাইল ফরম্যাট, ফাইল সাইজ এবং রেজোলিউশন নিশ্চিত করলে আপনার পাসপোর্ট বা ভিসার ছবি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য হবে।

ভিসা আবেদন ফটো গাইডলাইন

ভিসা আবেদনের জন্য ছবি প্রক্রিয়াজাতকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভিসা আবেদন ফটো গাইডলাইন ঠিকভাবে মেনে চললে আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত এবং সফল হয়। এখানে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো:

১. সাইজ এবং মাত্রা

  • অধিকাংশ দেশে ভিসার জন্য ছবি 45mm × 35mm বা 2×2 ইঞ্চি সাইজের হয়। 
  • দেশভেদে ভিন্নতা থাকতে পারে, তাই আবেদনকারী দেশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ নিয়ম যাচাই করা জরুরি। 

২. ব্যাকগ্রাউন্ড

  • ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা বা হালকা রঙের হতে হবে। 
  • কোনো ডিজাইন, শেডো বা প্যাটার্ন গ্রহণযোগ্য নয়। 
  • প্রাকৃতিক আলো বা সফট লাইট ব্যবহার করে ছবি তোলার সময় ছায়া এড়ানো উচিত। 

🔗 অফিসিয়াল উদাহরণ: US Visa Photo Guidelines

৩. মুখ এবং অভিব্যক্তি

  • মুখ সরাসরি ক্যামেরার দিকে থাকা উচিত। 
  • চোখ খোলা এবং মুখে স্বাভাবিক বা হালকা অভিব্যক্তি থাকা আবশ্যক। 
  • দাঁত দেখা যাবে না, হাসি হালকা রাখতে হবে। 

৪. পোশাক এবং ধর্মীয় পরিধান

  • সাধারণ পোশাক ব্যবহার করা উচিত। 
  • ধর্মীয় কারণে হিজাব বা টুপি পরা যেতে পারে, তবে মুখ স্পষ্ট থাকতে হবে। 
  • চশমা বা সানগ্লাস পরা যাবে না। 

৫. ফাইল ফরম্যাট ও রেজোলিউশন

  • অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য ছবি JPEG বা PNG ফরম্যাটে রাখুন। 
  • রেজোলিউশন 300 dpi বা তার বেশি রাখা ভালো। 
  • ফাইল সাইজ সাধারণত 100 KB – 200 KB সীমার মধ্যে রাখুন। 

৬. মোবাইল বা ক্যামেরা ব্যবহার

  • মোবাইল বা ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবিও ব্যবহার করা সম্ভব। 
  • অনলাইনে ক্রপিং ও ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন টুল ব্যবহার করে ছবি অফিসিয়াল মান অনুযায়ী প্রস্তুত করুন। 

টিপস:
ভিসা আবেদন ফটো গাইডলাইন মেনে ছবি তৈরি করলে:

  • আবেদন দ্রুত প্রসেস হয়। 
  • ছবি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। 
  • ভিসা অফিস থেকে অতিরিক্ত নির্দেশনার প্রয়োজন পড়ে না।

পাসপোর্ট ফটো রেজোলিউশন এবং DPI

পাসপোর্ট বা ভিসার জন্য ছবি তৈরি করার সময় শুধুমাত্র সাইজ বা ব্যাকগ্রাউন্ড নয়, রেজোলিউশন এবং DPI-ও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ঠিক না থাকলে ছবি প্রিন্ট বা অনলাইনে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। এখানে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো:

১. রেজোলিউশন কেন গুরুত্বপূর্ণ?

  • ছবি যত বেশি রেজোলিউশন, তত বেশি স্পষ্টতা ও বিস্তারিত দেখা যায় 
  • কম রেজোলিউশনের ছবি ব্লারি হয় এবং সরকারি অফিসে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। 
  • সাধারণত পাসপোর্ট ছবি 300 dpi বা তার বেশি হওয়া উচিত। 

২. DPI (Dots Per Inch) মানে কী?

  • DPI হলো প্রিন্ট বা স্ক্যান করা ছবিতে প্রতি ইঞ্চিতে কতটি ডট আছে তা নির্দেশ করে। 
  • উচ্চ DPI মানে ছবির মান বেশি এবং প্রিন্ট করলে স্পষ্ট থাকে। 
  • সরকারি এবং আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট/ভিসার জন্য 300 dpi স্ট্যান্ডার্ড। 

৩. ডিজিটাল ছবি রেজোলিউশন

  • অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য ছবির পিক্সেল মাপ সাধারণত 600×600 px বা 827×1063 px 
  • ছবি ক্রপ করার সময় রেজোলিউশন ঠিক রাখতে হবে, না হলে ছবির মান নষ্ট হতে পারে। 

৪. প্রিন্ট করার সময়

  • ছবি প্রিন্ট করলে অবশ্যই 300 dpi বা তার বেশি রেজোলিউশন থাকা আবশ্যক। 
  • কম DPI-এর ছবি প্রিন্ট করলে মুখ স্পষ্ট হবে না এবং আবেদন বাতিল হওয়ার ঝুঁকি থাকে। 

৫. মোবাইল বা ক্যামেরা থেকে ছবি

  • মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুললেও ছবি 300 dpi সমান মানে রূপান্তর করা সম্ভব 
  • অনলাইন টুল বা ফটো এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে DPI ঠিক করা যায়। 

সারসংক্ষেপ:
উচ্চ রেজোলিউশন এবং 300 dpi-এর ছবি ব্যবহার করলে আপনার পাসপোর্ট বা ভিসা আবেদন সবসময় অফিসিয়াল মান অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য হবে।

শিশুদের পাসপোর্ট ছবি নিয়ম

শিশুদের জন্য পাসপোর্ট ছবি নেওয়া কিছুটা ভিন্ন এবং আরও সতর্কতার সাথে করতে হয়। ছোট শিশুদের মুখ, চোখের অবস্থান এবং অভিব্যক্তি ঠিক রাখা অনেক সময় চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এখানে বিস্তারিত শিশুদের পাসপোর্ট ছবি নিয়ম দেওয়া হলো:

১. সাইজ এবং মাত্রা

  • সাধারণত শিশুদের পাসপোর্ট ছবির সাইজ 45mm × 35mm বা দেশের নির্ধারিত মান অনুযায়ী। 
  • আন্তর্জাতিক পাসপোর্টে শিশুদের জন্যও এই স্ট্যান্ডার্ড সাইজ প্রযোজ্য। 

২. মুখ এবং চোখের অবস্থান

  • শিশুর মুখ সরাসরি ক্যামেরার দিকে থাকা উচিত। 
  • চোখ খোলা এবং মুখে সাধারণ বা নিরপেক্ষ অভিব্যক্তি থাকা আবশ্যক। 
  • যদি শিশু হাসে, দাঁত দেখা যাবে না এবং মুখের ভঙ্গি হালকা রাখতে হবে। 

৩. ব্যাকগ্রাউন্ড

  • ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা বা হালকা রঙের রাখা আবশ্যক। 
  • ছায়া বা প্যাটার্ন থাকা চলবে না। 

৪. পোশাক

  • সাধারণ পোশাক ব্যবহার করুন। 
  • ধর্মীয় কারণে হিজাব বা টুপি পরা যাবে, তবে মুখ স্পষ্ট থাকতে হবে। 
  • চশমা বা অন্যান্য গ্লাস পরানো যাবে না। 

৫. ছবি তোলার কৌশল

  • শিশু বসে বা ঘাড় সমর্থন সহ ছবি তোলা যেতে পারে। 
  • প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করলে মুখের স্পষ্টতা বেশি থাকে। 
  • মোবাইল বা ক্যামেরা দিয়ে ছবি নেওয়া যায়, তবে নিশ্চিত করুন ছবি ব্লারি না হয়। 

৬. ফাইল ফরম্যাট এবং রেজোলিউশন

  • অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য JPEG বা PNG ফরম্যাট ব্যবহার করুন। 
  • রেজোলিউশন 300 dpi বা তার বেশি রাখুন। 
  • ফাইল সাইজ 100 KB – 200 KB এর মধ্যে রাখা ভালো। 

৭. অতিরিক্ত টিপস

  • শিশুর মাথা ছবির কেন্দ্রে রাখুন। 
  • শিশু যদি বসে না থাকে, পেছনের হাত বা সহায়ক কোনো অবজেক্ট ছবি থেকে সম্পূর্ণ দেখা যাবে না। 
  • ছবি ক্রপ করার সময় সমস্ত অফিসিয়াল নির্দেশিকা অনুসরণ করুন।

ধর্মীয় হিজাব বা টুপি সহ ছবি নির্দেশনা

পাসপোর্ট বা ভিসার জন্য ছবি তোলার সময় ধর্মীয় পোশাক যেমন হিজাব বা টুপি পরা অনেক সময় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু সরকারি নিয়মে কিছু শর্ত মেনে এটি অনুমোদিত। এখানে বিস্তারিত ধর্মীয় হিজাব বা টুপি সহ ছবি নির্দেশনা দেওয়া হলো:

১. মুখ স্পষ্ট থাকা আবশ্যক

  • হিজাব বা টুপি পরলেও মুখ, চিবুক এবং চোখ সম্পূর্ণ স্পষ্ট থাকতে হবে। 
  • চোখ বন্ধ, মুখ ঢেকে থাকা বা মুখের কোনো অংশ আড়াল করা গ্রহণযোগ্য নয়। 

২. ব্যাকগ্রাউন্ড

  • ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা বা হালকা রঙের হতে হবে। 
  • হিজাব বা টুপি ছবির সাথে কোনো শেডো বা প্যাটার্ন তৈরি করতে পারবে না। 

৩. হিজাব বা টুপি ব্যবহার কৌশল

  • হিজাব যেন মুখের চারপাশে সুপরিসর এবং সরল থাকে। 
  • মাথার অংশ সম্পূর্ণ ছবি ফ্রেমের মধ্যে থাকুক। 
  • ধর্মীয় টুপি পরার সময় মুখের প্রতিটি অংশ স্পষ্টভাবে দেখা যাবে তা নিশ্চিত করুন। 

🔗 অফিসিয়াল উদাহরণ: US Passport Photo Guidelines for Head Coverings

৪. অন্যান্য নির্দেশিকা

  • চশমা বা সানগ্লাস পরা যাবে না। 
  • মুখের অভিব্যক্তি সাধারণ বা নিরপেক্ষ রাখতে হবে। 
  • ছবি প্রক্রিয়াকরণের জন্য 300 dpi বা তার বেশি রেজোলিউশন থাকা আবশ্যক। 

৫. অতিরিক্ত টিপস

  • হিজাব বা টুপি পরানো থাকলেও, ছবি তোলার সময় পরিষ্কার আলো ব্যবহার করুন, যাতে মুখের প্রতিটি অংশ স্পষ্ট থাকে। 
  • অনলাইনে ক্রপিং করার সময় নিশ্চিত করুন, ব্যাকগ্রাউন্ড এবং হিজাব/টুপি ঠিকভাবে ফিট হয়েছে। 

মোবাইল দিয়ে পাসপোর্ট ছবি তোলার নিয়ম

আজকাল প্রায় সবাই পাসপোর্ট বা ভিসার জন্য ছবি তোলার জন্য মোবাইল ক্যামেরা ব্যবহার করে থাকে। তবে মোবাইল দিয়ে ছবি তোলার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলা দরকার, যাতে ছবি অফিসিয়ালভাবে গ্রহণযোগ্য হয়। নিচে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো:

১. সঠিক লাইটিং ব্যবহার

  • প্রাকৃতিক আলো বা সফট লাইট ব্যবহার করুন। 
  • মুখে বা ব্যাকগ্রাউন্ডে ছায়া না পড়তে হবে। 
  • সরাসরি সূর্যের আলো বা অতিরিক্ত ফ্ল্যাশ ব্যবহার করবেন না। 

২. ব্যাকগ্রাউন্ড

  • ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা বা হালকা রঙের হতে হবে। 
  • কোনোরকম ডিজাইন, প্যাটার্ন বা শেডো গ্রহণযোগ্য নয়। 
  • মোবাইলের ফটো এডিটিং টুল ব্যবহার করে ব্যাকগ্রাউন্ড ঠিক করা যেতে পারে। 

৩. মুখ এবং অভিব্যক্তি

  • মুখ সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকাতে হবে। 
  • চোখ খোলা, মুখে সাধারণ বা হালকা অভিব্যক্তি। 
  • দাঁত দেখা যাবে না। 

৪. হেড পজিশন এবং ফ্রেম

  • মাথা ছবির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। 
  • মুখের অংশ প্রায় ৭০–৮০% ছবি দখল করবে। 
  • পুরো মাথা এবং কাঁধ ফ্রেমে থাকবে। 

৫. ফাইল ফরম্যাট এবং রেজোলিউশন

  • মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে তুললেও ছবি JPEG বা PNG ফরম্যাটে সংরক্ষণ করুন। 
  • রেজোলিউশন 300 dpi বা তার বেশি রাখা আবশ্যক। 
  • অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য ফাইল সাইজ 100–200 KB এর মধ্যে রাখা ভালো। 

৬. মোবাইল ক্রপিং এবং এডিটিং টুল

  • অনেক মোবাইল অ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি ক্রপ এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ঠিক করার সুবিধা দেয়। 
  • নিশ্চিত করুন ছবি সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ক্রপ হয়েছে। 

৭. অতিরিক্ত টিপস

  • স্থির অবস্থানে ছবি তুলুন, ঝাপসা বা ব্লারি ছবি গ্রহণযোগ্য হবে না। 
  • শিশুর ছবি তুললে সহায়ক দ্বারা শিশুকে স্থির রাখা যেতে পারে। 

এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে মোবাইল দিয়েও পাসপোর্ট ও ভিসা ফটো অফিসিয়াল মান অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য হবে।

আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট ছবি স্ট্যান্ডার্ড

পাসপোর্ট ছবি দেশভেদে কিছুটা পার্থক্য থাকতে পারে, তবে বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক নিয়মে স্ট্যান্ডার্ড ছবি স্পেসিফিকেশন প্রযোজ্য। বিদেশ ভ্রমণ বা ভিসার জন্য আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মানা অত্যন্ত জরুরি। নিচে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো:

১. সাইজ এবং মাত্রা

  • অধিকাংশ দেশে স্ট্যান্ডার্ড পাসপোর্ট ছবি 45mm × 35mm 
  • কিছু দেশের জন্য ভিন্ন সাইজ যেমন: 
    • US Passport: 2×2 inch (51mm x 51mm) 
    • EU Passport: 45mm × 35mm 
  • দেশের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ সাইজ যাচাই করা জরুরি। 

২. ব্যাকগ্রাউন্ড কালার

  • সাদা বা হালকা রঙের ব্যাকগ্রাউন্ড সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য। 
  • কোনো প্যাটার্ন, শেডো বা ডিজাইন থাকা যাবে না। 
  • প্রাকৃতিক আলো বা সফট লাইট ব্যবহার করুন। 

৩. মুখ এবং অভিব্যক্তি

  • মুখ সরাসরি ক্যামেরার দিকে থাকা উচিত। 
  • চোখ খোলা এবং মুখে স্বাভাবিক বা হালকা অভিব্যক্তি। 
  • দাঁত দেখা যাবে না। 

৪. হিজাব বা ধর্মীয় টুপি

  • ধর্মীয় কারণে হিজাব বা টুপি পরা যাবে, তবে মুখ স্পষ্ট থাকতে হবে 
  • ব্যাকগ্রাউন্ড এবং মুখের স্পষ্টতা নিশ্চিত করতে হবে। 

৫. ফাইল ফরম্যাট ও রেজোলিউশন

  • অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য JPEG বা PNG ফরম্যাট। 
  • রেজোলিউশন 300 dpi বা তার বেশি রাখা জরুরি। 
  • ফাইল সাইজ সাধারণত 100–200 KB এর মধ্যে রাখা ভালো। 

৬. অতিরিক্ত টিপস

  • ছবি ঝাপসা বা ব্লারি হওয়া চলবে না। 
  • মাথা কেন্দ্রবিন্দুতে এবং মুখের অংশ প্রায় 70–80% ফ্রেম দখল করবে। 
  • অনলাইন বা মোবাইল ব্যবহার করে ছবি ক্রপ করার সময় সব স্ট্যান্ডার্ড মাপ ঠিক আছে কি না যাচাই করুন। 

সারসংক্ষেপ:
সঠিক আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট ছবি স্ট্যান্ডার্ড মানলে ছবি গ্রহণযোগ্য হবে এবং ভিসা বা পাসপোর্ট প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হবে।

ডিজিটাল পাসপোর্ট ছবি রেডিমেন্ট

আজকের সময়ে বেশিরভাগ পাসপোর্ট ও ভিসা আবেদন ডিজিটাল ছবি ব্যবহার করে সম্পন্ন হয়। তাই ডিজিটাল পাসপোর্ট ছবি রেডিমেন্ট জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ছবি অফিসিয়ালভাবে গ্রহণযোগ্য হয়। নিচে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো:

১. ফাইল ফরম্যাট

  • ছবি অবশ্যই JPEG বা PNG ফরম্যাটে সংরক্ষণ করতে হবে। 
  • অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য এই ফরম্যাটগুলো সর্বাধিক সমর্থিত। 

২. সাইজ ও মাত্রা

  • ডিজিটাল ছবি অবশ্যই সরকারি মান অনুযায়ী ক্রপ করা হবে। 
  • সাধারণত বাংলাদেশের পাসপোর্টের জন্য 45mm × 35mm, আন্তর্জাতিক পাসপোর্টে দেশের নির্দেশিকা অনুযায়ী। 
  • অনলাইন ক্রপিং টুল বা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে সঠিক মাপ নিশ্চিত করুন। 

৩. রেজোলিউশন এবং DPI

  • ছবির রেজোলিউশন 300 dpi বা তার বেশি হতে হবে। 
  • অনলাইনে জমা দেওয়ার সময় ছবির মান অটোমেটিক চেক হয়। 
  • কম রেজোলিউশনের ছবি ব্লারি হয় এবং গ্রহণযোগ্য হয় না। 

৪. ব্যাকগ্রাউন্ড ও আলো

  • ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা বা হালকা রঙের হতে হবে। 
  • ছায়া বা ডিজাইন থাকা যাবে না। 
  • প্রাকৃতিক আলো বা সফট লাইট ব্যবহার করে মুখ স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। 

৫. মুখ এবং অভিব্যক্তি

  • মুখ সরাসরি ক্যামেরার দিকে থাকবে। 
  • চোখ খোলা, মুখে সাধারণ বা হালকা অভিব্যক্তি। 
  • দাঁত দেখা যাবে না, এবং কোনো গ্লাস বা সানগ্লাস পরা যাবে না। 

৬. মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার

  • মোবাইল বা ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা যেতে পারে। 
  • অনলাইন টুল বা ফটো এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে ছবির সাইজ, ব্যাকগ্রাউন্ড ও রেজোলিউশন ঠিক করুন। 

সারসংক্ষেপ:
ডিজিটাল পাসপোর্ট ছবি রেডিমেন্ট মেনে ছবি প্রস্তুত করলে আপনার আবেদন সরকারি মান অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য হবে এবং পুনরায় ছবি তোলার ঝামেলা এড়ানো যায়।

পাসপোর্ট ছবি ভেরিফিকেশন কৌশল

পাসপোর্ট বা ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ায় ছবি যাচাই একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। সঠিক পাসপোর্ট ছবি ভেরিফিকেশন কৌশল মেনে চললে ছবি বাতিল হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। নিচে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো:

১. ছবি স্পষ্টতা যাচাই

  • ছবিতে মুখ, চোখ এবং চিবুক স্পষ্টভাবে দেখা যাবে কিনা তা চেক করুন। 
  • মুখ ঝাপসা বা ব্লারি হলে ছবি বাতিল হতে পারে। 
  • প্রয়োজনে অনলাইন বা মোবাইল টুল দিয়ে ছবির স্পষ্টতা যাচাই করুন। 

২. সাইজ এবং ক্রপিং যাচাই

  • ছবির সাইজ 45mm × 35mm বা দেশের নির্ধারিত মান অনুযায়ী কিনা তা নিশ্চিত করুন। 
  • মুখের অংশ প্রায় 70–80% ফ্রেম দখল করছে কি না যাচাই করুন। 
  • অনলাইনে ক্রপিং টুল ব্যবহার করে সঠিক মাপ নিশ্চিত করা যেতে পারে। 

৩. ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই

  • ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা বা হালকা রঙের এবং ছায়ামুক্ত কিনা তা চেক করুন। 
  • কোনো প্যাটার্ন বা ডিজাইন থাকলে ছবি বাতিল হতে পারে। 

৪. অভিব্যক্তি ও পোশাক যাচাই

  • মুখে সাধারণ বা হালকা অভিব্যক্তি আছে কি না। 
  • দাঁত দেখা যাচ্ছে না এবং চোখ খোলা আছে কি না। 
  • হিজাব বা ধর্মীয় টুপি থাকলে মুখ স্পষ্ট কিনা যাচাই করুন। 

৫. ফাইল ফরম্যাট ও রেজোলিউশন যাচাই

  • ছবি JPEG বা PNG ফরম্যাটে আছে কি না। 
  • রেজোলিউশন 300 dpi বা তার বেশি 
  • ফাইল সাইজ অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য 100–200 KB এর মধ্যে কিনা যাচাই করুন। 

৬. চূড়ান্ত যাচাই

  • অনলাইনে বা সফটওয়্যারের মাধ্যমে ছবি পরীক্ষা করে নিশ্চিত করুন সরকারি মান অনুযায়ী সব শর্ত পূরণ হয়েছে। 
  • চূড়ান্ত যাচাইয়ের পরে ছবি জমা দিলে আবেদন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্যে থাকে। 

সারসংক্ষেপ:
এই ভেরিফিকেশন কৌশল অনুসরণ করলে পাসপোর্ট বা ভিসা ছবি সবসময় অফিসিয়াল নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য হবে এবং পুনরায় ছবি তোলার ঝামেলা এড়ানো সম্ভব হবে।

সরকারী পাসপোর্ট ছবি গাইডলাইন

পাসপোর্ট আবেদনের জন্য সরকারি নির্দেশিকা মেনে ছবি তোলা অত্যন্ত জরুরি। সরকারি পাসপোর্ট ছবি গাইডলাইন ঠিকভাবে মেনে চললে আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত হয় এবং ছবি বাতিল হওয়ার ঝুঁকি কমে। নিচে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো:

১. ছবি সাইজ এবং মাত্রা

  • বাংলাদেশের সরকারি পাসপোর্ট ছবির মান অনুযায়ী 45mm × 35mm 
  • আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য দেশের নির্দেশিকা অনুযায়ী ভিন্ন সাইজ হতে পারে। 
  • অনলাইনে বা স্টুডিওতে ছবি ক্রপ করার সময় সঠিক মাপ নিশ্চিত করুন। 

২. ব্যাকগ্রাউন্ড

  • ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা বা হালকা রঙের হতে হবে। 
  • কোনো ডিজাইন, শেডো বা প্যাটার্ন গ্রহণযোগ্য নয়। 
  • প্রাকৃতিক আলো বা সফট লাইট ব্যবহার করলে মুখ স্পষ্টভাবে দেখা যায়। 

৩. মুখ এবং অভিব্যক্তি

  • মুখ সরাসরি ক্যামেরার দিকে থাকবে। 
  • চোখ খোলা, মুখে স্বাভাবিক বা হালকা অভিব্যক্তি। 
  • দাঁত দেখা যাবে না। 

৪. হিজাব বা ধর্মীয় টুপি

  • ধর্মীয় কারণে হিজাব বা টুপি পরা যাবে, তবে মুখ স্পষ্ট থাকতে হবে। 
  • ছবি তোলার সময় মুখের প্রতিটি অংশ পরিষ্কারভাবে দেখা যাবে তা নিশ্চিত করুন। 

৫. ফাইল ফরম্যাট এবং রেজোলিউশন

  • অনলাইনে জমা দেওয়ার জন্য ছবি JPEG বা PNG ফরম্যাটে রাখুন। 
  • রেজোলিউশন 300 dpi বা তার বেশি 
  • ফাইল সাইজ সাধারণত 100–200 KB এর মধ্যে রাখুন। 

৬. অতিরিক্ত টিপস

  • ছবি ঝাপসা বা ব্লারি হওয়া চলবে না। 
  • মাথা কেন্দ্রবিন্দুতে এবং মুখের অংশ প্রায় 70–80% ফ্রেম দখল করবে। 
  • শিশুর ছবি হলে শিশুকে স্থির রাখার জন্য সহায়ক ব্যবহার করা যেতে পারে। 

🔗 সরকারি নির্দেশিকা উদাহরণ: Bangladesh Passport Photo Guidelines

পাসপোর্ট এবং NID ফটো তুলার পার্থক্য

পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এর জন্য ছবি তোলা অনেকটাই একই রকম মনে হলেও, সরকারি নিয়ম ও নির্দিষ্ট মানের দিক থেকে এদের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য আছে। এখানে বিস্তারিত তুলনা দেওয়া হলো:

১. সাইজ এবং মাত্রা

বৈশিষ্ট্য পাসপোর্ট ছবি NID ছবি
মাত্রা সাধারণত 45mm × 35mm সাধারণত 300×300 px বা সরকারি নির্ধারিত ডিজিটাল মাপ
অনলাইন জমা JPEG/PNG ফরম্যাট সাধারণত JPEG ফরম্যাট

২. ব্যাকগ্রাউন্ড

  • পাসপোর্ট: সাদা বা হালকা রঙের, ছায়া বা প্যাটার্ন গ্রহণযোগ্য নয়। 
  • NID: একইভাবে সাদা বা হালকা রঙের ব্যাকগ্রাউন্ড, তবে ডিজিটাল ফর্মে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড কিছুটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঠিক করা হয়। 

৩. মুখ এবং অভিব্যক্তি

  • পাসপোর্ট: মুখ সরাসরি ক্যামেরার দিকে থাকবে, চোখ খোলা, মুখে স্বাভাবিক অভিব্যক্তি, দাঁত দেখা যাবে না। 
  • NID: মুখ এবং চোখের অবস্থান ঠিক রাখতে হবে, কিন্তু অভিব্যক্তি তুলনামূলকভাবে কিছুটা লুজ হতে পারে। 

৪. ধর্মীয় হিজাব বা টুপি

  • উভয় ক্ষেত্রে অনুমোদিত, তবে মুখ স্পষ্ট থাকতে হবে। 
  • পাসপোর্টের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মান বজায় রাখা জরুরি। 

৫. ফাইল ফরম্যাট এবং রেজোলিউশন

  • পাসপোর্ট: JPEG/PNG, 300 dpi বা তার বেশি। 
  • NID: JPEG, রেজোলিউশন সাধারণত 300 dpi-এর কাছাকাছি বা সরকারি নির্ধারিত মান। 

৬. মোবাইল বা ক্যামেরা ব্যবহার

  • উভয় ক্ষেত্রে মোবাইল বা ক্যামেরা ব্যবহার করা যায়। 
  • অনলাইনে জমা দেওয়ার আগে ক্রপিং এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ঠিক করা আবশ্যক। 

৭. ব্যবহার ক্ষেত্র

  • পাসপোর্ট: আন্তর্জাতিক ভ্রমণ, ভিসা আবেদন। 
  • NID: দেশের অভ্যন্তরে পরিচয় প্রমাণ, ব্যাংক, ভোটার লিস্ট ইত্যাদি। 

সারসংক্ষেপ:
যদিও পাসপোর্ট এবং NID ফটো তুলার অনেক নিয়ম এক রকম, তবুও ব্যাকগ্রাউন্ড, সাইজ, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড এবং আবেদন উদ্দেশ্য অনুযায়ী কিছু পার্থক্য থাকে। এই পার্থক্যগুলো মেনে ছবি তৈরি করলে আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত এবং গ্রহণযোগ্য হয়।

পাসপোর্ট ফটো সাবমিশনের সাধারণ ভুল

পাসপোর্ট বা ভিসার জন্য ছবি জমা দেওয়ার সময় অনেকেই ছোটখাটো ভুল করে বসে, যার ফলে আবেদন বাতিল হতে পারে বা পুনরায় ছবি তোলার প্রয়োজন পড়ে। এখানে পাসপোর্ট ফটো সাবমিশনের সাধারণ ভুল গুলো ব্যাখ্যা করা হলো:

১. সঠিক সাইজ না রাখা

  • ছবি সরকারি স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ক্রপ করা হয়নি। 
  • উদাহরণস্বরূপ, পাসপোর্টের জন্য সাধারণত 45mm × 35mm মাপ প্রয়োজন। 

২. ব্যাকগ্রাউন্ড সমস্যা

  • ব্যাকগ্রাউন্ডে ছায়া, প্যাটার্ন বা ডার্ক কালার থাকা। 
  • সাদা বা হালকা রঙের ব্যাকগ্রাউন্ড না রাখা। 

৩. মুখ এবং চোখের অভিব্যক্তি

  • মুখ আংশিক আড়াল করা, চোখ বন্ধ থাকা। 
  • দাঁত দেখা যাওয়া বা অতিরিক্ত হাসি থাকা। 

৪. হিজাব বা ধর্মীয় টুপি ভুলভাবে পরা

  • মুখ পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে না। 
  • মাথার অংশ ফ্রেমে ঠিকভাবে নেই। 

৫. ফাইল ফরম্যাট এবং রেজোলিউশন সমস্যা

  • অনলাইন সাবমিশনের জন্য ছবি JPEG/PNG ফরম্যাটে না থাকা। 
  • রেজোলিউশন কম হওয়ায় ছবি ব্লারি বা মানহীন। 
  • ফাইল সাইজ অত্যধিক বা অত্যন্ত ছোট। 

৬. মোবাইল বা ক্যামেরা ত্রুটি

  • ছবি ঝাপসা বা ব্লারি। 
  • ক্রপিং বা ব্যাকগ্রাউন্ড ঠিক না করা। 

৭. অন্যান্য সাধারণ ভুল

  • হেডসেট, গ্লাস বা সানগ্লাস পরানো। 
  • শিশুদের জন্য সহায়ক ব্যবহার না করে ছবি তোলা। 
  • ছবি দাগ বা স্ক্যানিং ত্রুটি থাকা। 

সারসংক্ষেপ:
এই সাধারণ ভুলগুলো এড়িয়ে চললে আপনার পাসপোর্ট ছবি সরকারি মান অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য হবে এবং আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ হবে।

 

📝 প্রশ্ন-উত্তর 

প্রশ্ন ১: বাংলাদেশে পাসপোর্ট সাইজ ছবির মাপ কত?

✅ উত্তর: বাংলাদেশে পাসপোর্টের জন্য ছবির সাইজ সাধারণত 45mm × 35mm নির্ধারিত। তবে কিছু ক্ষেত্রে (ভিসা আবেদন, অনলাইন ফর্ম ইত্যাদি) ভিন্ন সাইজ লাগতে পারে।

প্রশ্ন ২: আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পাসপোর্ট ছবির মাপ কী?

✅ উত্তর:

  • যুক্তরাষ্ট্র (US) → 2×2 ইঞ্চি (51mm × 51mm) 
  • যুক্তরাজ্য ও শেনজেন ভিসা → 45mm × 35mm 
  • ভারত → 51mm × 51mm 
  • বাংলাদেশ → 45mm × 35mm 

প্রশ্ন ৩: পাসপোর্ট সাইজ ছবির ডিজিটাল মাপ কত হওয়া উচিত?

✅ উত্তর: অনলাইনে ব্যবহারের জন্য ছবির পিক্সেল মাপ সাধারণত 600 × 600 বা 827 × 1063 হয়। ছবির রেজোলিউশন (dpi) অন্তত 300 dpi হওয়া বাধ্যতামূলক।

প্রশ্ন ৪: অনলাইনে ছবি আপলোড করার সময় ফাইল সাইজ কত হওয়া উচিত?

✅ উত্তর: বেশিরভাগ অনলাইন ফর্মে ছবির ফাইল সাইজ 100 KB থেকে 200 KB এর মধ্যে রাখতে হয়।

প্রশ্ন ৫: পাসপোর্ট সাইজ ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড কেমন হতে হবে?

✅ উত্তর: ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা বা হালকা রঙের হতে হবে। কোনো শ্যাডো বা ডিজাইন থাকা চলবে না।

প্রশ্ন ৬: ছবিতে কি চশমা বা টুপি পরা যাবে?

✅ উত্তর: চশমা, সানগ্লাস বা টুপি পরা যাবে না। তবে ধর্মীয় কারণে হিজাব বা টুপি পরা যেতে পারে, কিন্তু মুখ স্পষ্ট থাকতে হবে।

প্রশ্ন ৭: শিশুদের পাসপোর্ট সাইজ ছবির নিয়ম কি আলাদা?

✅ উত্তর: শিশুদের ক্ষেত্রেও একই সাইজের ছবি লাগে। তবে শিশুর মুখ স্পষ্টভাবে দেখা যেতে হবে, চোখ খোলা থাকতে হবে এবং কোনো খেলনা/মানুষ ছবিতে থাকা যাবে না।

প্রশ্ন ৮: মোবাইল দিয়ে কি পাসপোর্ট সাইজ ছবি তোলা সম্ভব?

✅ উত্তর: হ্যাঁ, মোবাইল দিয়েও ছবি তোলা যায়। তবে অবশ্যই সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড, যথাযথ আলো এবং ছবি এডিট করার পর নির্ধারিত সাইজে ক্রপ করতে হবে। অনেকেই এ জন্য অনলাইন টুল ব্যবহার করেন।

প্রশ্ন ৯: ছবিতে মুখের কত অংশ দৃশ্যমান থাকতে হবে?

✅ উত্তর: মাথা থেকে চিবুক পর্যন্ত মুখ ছবির প্রায় ৭০–৮০% অংশ জুড়ে থাকতে হবে।

প্রশ্ন ১০: পাসপোর্ট ছবিতে হাসা যাবে কি?

✅ উত্তর: না। পাসপোর্ট ছবিতে স্বাভাবিক অভিব্যক্তি রাখতে হবে, দাঁত দেখা যাবে না।

প্রশ্ন ১১: পাসপোর্ট ছবির ভুল হলে কী হবে?

✅ উত্তর: ভুল ছবি (সাইজ, ব্যাকগ্রাউন্ড বা ফাইল সাইজে সমস্যা) জমা দিলে আবেদন বাতিল হতে পারে। তাই জমা দেওয়ার আগে সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া নিয়ম দেখে নিতে হবে।

প্রশ্ন ১২: সরকারি অফিসিয়াল তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে?

✅ উত্তর: বাংলাদেশ সরকারের অফিসিয়াল ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে সবশেষ নিয়ম পাওয়া যাবে।
🔗 Bangladesh ePassport Official

উপসংহার

সবশেষে বলা যায়, যেকোনো সরকারি বা ব্যক্তিগত কাজে সঠিক পাসপোর্ট সাইজ ছবির মাপ জানা অত্যন্ত জরুরি। কারণ একটি ছোট ছবির ভুলের কারণে পুরো আবেদন প্রক্রিয়া আটকে যেতে পারে কিংবা বাতিল হতে পারে। তাই পাসপোর্ট, ভিসা, এনআইডি বা অনলাইন ফর্ম—যেখানেই ছবি জমা দিতে হোক না কেন, আগে থেকেই সঠিক মাপ, ব্যাকগ্রাউন্ড ও রেজোলিউশন যাচাই করে নেওয়া উচিত। এতে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে এবং আবেদন সফল হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে। মনে রাখবেন, একটি সঠিক মাপের ছবি আপনার পরিচয়পত্রকে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য করে তোলে।

“সঠিক পাসপোর্ট সাইজ ছবির মাপ জেনে নিন এবং আবেদন করার আগে অফিসিয়াল নিয়ম মেনে ছবি জমা দিন—আজই শুরু করুন প্রস্তুতি।”

⚠️ সতর্কীকরণ বার্তা

এই ব্লগ পোস্টে দেওয়া সকল তথ্য সর্বশেষ সরকারি ও আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে পাসপোর্ট সাইজ ছবির মাপ বিভিন্ন দেশে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে। তাই আবেদন করার আগে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর বা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ নিয়ম যাচাই করে নিন। এই ব্লগ কেবলমাত্র তথ্য সহায়তার উদ্দেশ্যে তৈরি, কোনো অফিসিয়াল নথি নয়।

লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 

গুগল নিউজে Multiseen সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন

প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম

মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার সহজ উপায়

ভোটার আইডি কার্ড যাচাই ২০২৫: অনলাইন ও অফলাইন পূর্ণ গাইড

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আমি আমির হোসাইন, পেশায় একজন চাকরিজীবী এবং এই ওয়েবসাইটের এডমিন। চাকরির পাশাপাশি গত ১ বছর ধরে আমি আমার নিজস্ব ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করছি এবং নিজস্ব ইউটিউব ও ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্ট তৈরি করছি। বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমার লেখায় যদি কোনও ভুল থেকে থাকে, অনুগ্রহ করে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply