সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ কেমন হবে জানেন? খরচ, রুট ও থাকার গাইড জানুন একসাথে, এক জায়গায়!
বাংলাদেশের পর্যটন মানচিত্রে সবচেয়ে আকর্ষণীয় নামগুলোর একটি হলো সেন্ট মার্টিন। প্রবাল দ্বীপ হিসেবে পরিচিত এই স্বপ্নের দ্বীপটি অনেকের ভ্রমণ তালিকার শীর্ষে। অনেকে আবার ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে গিয়ে দ্বিধায় পড়েন—কোন রুটে যাব? খরচ কত হবে? কোথায় থাকব? কেমন খাবার পাব? তাই সঠিক ও বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে তৈরি করেছি এই সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ গাইড – খরচ, রুট, আবাসন, যা আপনার ভ্রমণকে করবে পরিকল্পিত, নিরাপদ ও স্মরণীয়।
এই গাইডে আপনি জানতে পারবেন ঢাকা থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার সেরা রুট, সাধ্যের মধ্যে আবাসনের তথ্য, আনুমানিক খরচের হিসাব, এবং দ্বীপে ঘোরার জনপ্রিয় স্থানসমূহ। এছাড়া, পরিবেশ সচেতনতা ও ভ্রমণকারীদের জন্য প্রয়োজনীয় বাস্তবিক পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
আপনি যদি সত্যিই এই দ্বীপে প্রকৃতির নিসর্গে হারিয়ে যেতে চান, তবে এই গাইডই হবে আপনার সেরা সহচর।
পোস্ট সূচীপত্র
Toggleসেন্ট মার্টিন ভ্রমণ গাইড – খরচ, রুট, আবাসন
📍 সেন্ট মার্টিন কোথায় এবং কেন জনপ্রিয়?
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ অবস্থিত কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায়, নাফ নদীর মুখে। এটি বঙ্গোপসাগরের বুকে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এই দ্বীপের মূল আকর্ষণ হলো:
- প্রবাল ও নীল জলরাশি
- চেরাডুইলা সৈকত ও গোধূলি দৃশ্য
- টাটকা সামুদ্রিক খাবার
- স্নরকেলিং ও ডলফিন স্পটিং
- শান্তিপূর্ণ ও নিরিবিলি পরিবেশ
🚍 ঢাকা থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার রুট
সেন্ট মার্টিনে সরাসরি যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। যেতে হয় ধাপে ধাপে।
১ম ধাপ: ঢাকা → কক্সবাজার
- বাস: শ্যামলী, সৌদিয়া, ইউনিক পরিবহন। ভাড়া: ৮০০–১৫০০ টাকা (AC/Non-AC)।
- ট্রেন: ঢাকা → চট্টগ্রাম (সোনার বাংলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস)। ভাড়া: ৪৫০–১২০০ টাকা।
- উড়োজাহাজ: ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ভাড়া: ৩৫০০–৬৫০০ টাকা (সিজনের উপর নির্ভর করে)।
২য় ধাপ: কক্সবাজার → টেকনাফ
- লোকাল বাস/মাইক্রোবাস: ২০০–৩০০ টাকা। সময় লাগে ৩–৪ ঘণ্টা।
৩য় ধাপ: টেকনাফ → সেন্ট মার্টিন (সমুদ্রপথে)
- যাত্রীবাহী জাহাজ/ক্যাটারম্যারান:
- Keari Sindbad, LCT Kutubdia
- ভাড়া: ৫৫০–৮৫০ টাকা (ডেক/চেয়ার/কেবিন)
- সময়: ২–২.৫ ঘণ্টা
- স্পিডবোট: ১২০০–২০০০ টাকা, সময় লাগে ১–১.৫ ঘণ্টা।
🔗 সরকারি আপডেট চেক করতে পারেন: Bangladesh Tourism Board
🗓️ ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
- শীতকাল (নভেম্বর–মার্চ): সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের জন্য আদর্শ সময়। আবহাওয়া পরিষ্কার থাকে, ঢেউ শান্ত থাকে এবং সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত স্পষ্ট দেখা যায়।
- বর্ষাকাল (জুন–সেপ্টেম্বর): ঝুঁকিপূর্ণ সময়। নৌযান চলাচল অনির্ভরযোগ্য, অনেক সময় জাহাজ বন্ধ থাকে।
💰 মোট খরচের হিসাব (প্রতি ব্যক্তি)
খাত | আনুমানিক খরচ |
ঢাকা–কক্সবাজার (বাস) | ১২০০ টাকা |
কক্সবাজার–টেকনাফ | ৩০০ টাকা |
টেকনাফ–সেন্ট মার্টিন (জাহাজ) | ৭০০ টাকা |
হোটেল (২ রাত) | ২০০০–৩৫০০ টাকা |
খাবার (২ দিন) | ১০০০–১৫০০ টাকা |
স্থানীয় যাতায়াত ও ঘোরাঘুরি | ৫০০–৭০০ টাকা |
অন্যান্য (BBQ, চা, পানি ইত্যাদি) | ৫০০ টাকা |
মোট | ৬৫০০–৯০০০ টাকা |
🏨 আবাসন: কোথায় থাকবেন?
🔹 সাধারন হোটেল ও গেস্ট হাউস
- Hotel Sea Inn: রুম ভাড়া ৮০০–১২০০ টাকা।
- Labiba Bilash: ১৫০০–২০০০ টাকা।
🔹 মিড রেঞ্জ হোটেল
- Blue Marine Resort: ২৫০০–৪০০০ টাকা।
- Hotel Prince Heaven: ২০০০–৩৫০০ টাকা।
🔹 বিলাসবহুল রিসোর্ট
- Coral View Resort, Fantasy Island Resort: ৪০০০–৮০০০ টাকা পর্যন্ত।
বুকিং এর আগে অবশ্যই রেটিং ও রিভিউ দেখে নিন: TripAdvisor
🍤 খাবার: কী খাবেন, কোথায় খাবেন?
- সামুদ্রিক মাছের BBQ: সন্ধ্যাবেলায় সৈকতের ধারে অস্থায়ী BBQ স্টল বসে। ভাড়া: ২০০–৫০০ টাকা।
- লাঞ্চ/ডিনার: কাঁচা মাছ নিয়ে গেস্টহাউস কুকদের রান্না করতে পারেন।
- লোকাল খাবার হোটেল: হোটেল স্নো হোয়াইট, কক্স হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট।
- পানি/স্ন্যাকস: দ্বীপে খাওয়ার পানি কিনতে হয় (২০–৩০ টাকা প্রতি বোতল)।
🌊 কী কী দেখবেন ও ঘুরে দেখবেন?
- চেরাডুইলা সৈকত: সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের সেরা জায়গা।
- West Beach: ফটো তোলার আদর্শ স্থান।
- Dafnar Char: বালির দ্বীপ, নৌকায় করে যেতে হয়।
- Dolphin Watching: স্থানীয় বোটে করে ১–২ ঘণ্টার ট্যুর।
- Snorkeling ও Scuba Diving: Coral ডুব দেখা যায় (শীতকালে ব্যবস্থা থাকে)।
📦 গুরুত্বপূর্ণ টিপস ও সতর্কতা
- 🌤️ সানস্ক্রিন ও হ্যাট নিয়ে যান।
- 💧 পর্যাপ্ত পানি বহন করুন।
- 🪙 ক্যাশ নিয়ে যান – বিকাশ চলে না সব জায়গায়।
- 🚯 প্লাস্টিক ব্যবহার কমান, দ্বীপ রক্ষা করুন।
- 🛶 সরকারি অনুমতি ছাড়া প্রবাল স্পর্শ করবেন না।
🔗 এক্সটার্নাল লিঙ্ক (বিশ্বস্ত সূত্র)
- বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড: https://tourismboard.gov.bd
- TripAdvisor রিভিউ: https://www.tripadvisor.com
- আবহাওয়া ও ভ্রমণ তথ্য: https://bmd.gov.bd
- জাহাজ বুকিং: https://kearisindbad.com
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের আয়তন কত?
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের আয়তন সম্পর্কে বিভিন্ন সূত্রে কিছু ভিন্নতা পাওয়া যায়। সরকারি তথ্যে দ্বীপটির আয়তন ১৩ বর্গকিলোমিটার উল্লেখ করা হয়েছে । অন্যদিকে, গবেষণায় বলা হয়েছে, দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৮ বর্গকিলোমিটার ।(prothomalo.com, sattacademy.com)
প্রশাসনিকভাবে, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন টেকনাফ উপজেলার ৬নং ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে চিহ্নিত। এটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ এবং দেশের সর্বদক্ষিণের ইউনিয়ন।(bn.wikipedia.org)
সেন্ট মার্টিন আইল্যান্ড কি বাংলাদেশে অবস্থিত?
হ্যাঁ, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশে অবস্থিত। এটি বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব অংশে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার দক্ষিণে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৩ বর্গ কিলোমিটার এবং এটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ হিসেবে পরিচিত। স্থানীয়রা একে ‘নারিকেল জিঞ্জিরা’ বা ‘দারুচিনি দ্বীপ’ নামেও অভিহিত করে থাকেন।eimuhurte.comarthosuchak.comen.wikipedia.org
সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রায় ৩,৭০০ জন বাসিন্দা বসবাস করেন, যারা প্রধানত মৎস্যজীবী, ধান চাষী, নারিকেল চাষী ও সীউইড সংগ্রাহক হিসেবে কাজ করেন। দ্বীপটি পরিবেশগতভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায়, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার এটি ‘ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া’ (ECA) হিসেবে ঘোষণা করে। পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মাসের জন্য পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। en.wikipedia.org
দ্বীপটি কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে নৌপথে পৌঁছানো যায়। স্থানীয় পরিবহন হিসেবে ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা, সাইকেল ও বাইক ব্যবহৃত হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সৌরশক্তি ও ডিজেল জেনারেটর ব্যবহার করা হয়, কারণ ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে জাতীয় গ্রিডের সংযোগ নেই।bahumatrik.com
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রবাল প্রাচীর ও সমৃদ্ধ সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। তবে, পরিবেশগত সুরক্ষার জন্য দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত?
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ, বর্তমানে প্রায় ৭,০০০ জন মানুষের বাসস্থান। তবে, বিভিন্ন সূত্রে জনসংখ্যার হিসাব কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। উইকিপিডিয়া অনুসারে, দ্বীপের জনসংখ্যা প্রায় ৩,৭০০ জন, যেখানে প্রায় ৫৩৫টি পরিবার বসবাস করে । অন্যদিকে, “The Daily Star” পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে দ্বীপের জনসংখ্যা প্রায় ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ জন বলে উল্লেখ করা হয়েছে ।bn.wikivoyage.org+4youtube.com+4bn.wikipedia.org+4bn.wikipedia.orgthedailystar.net
এই দ্বীপের প্রধান পেশা হলো মাছ ধরা, এবং এখানকার বাসিন্দারা মৎস্যজীবী হিসেবে পরিচিত। এছাড়া, নারিকেল, শৈবাল (পেজালা), ঝিনুক এবং পর্যটন ব্যবসাও তাদের জীবিকার অন্যতম উৎস। দ্বীপের প্রধান অবকাঠামো উত্তরাংশে, বিশেষ করে নারিকেল জিঞ্জিরা এলাকায় কেন্দ্রীভূত।bn.wikipedia.orgsattacademy.com+3bn.wikipedia.org+3bn.wikipedia.org+3
দ্বীপের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এখানকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
সেন্টমার্টিনের জীবন নিয়ে সবচেয়ে বিখ্যাত কিংবদন্তি কোনটি?
সেন্টমার্টিনের জীবন নিয়ে সবচেয়ে বিখ্যাত কিংবদন্তি হলো “সেন্টমার্টিনের প্রেমের কাহিনী” বা “সেন্টমার্টিন ও তার প্রেমিকা” এর গল্প। এই কিংবদন্তি অনুসারে, সেন্টমার্টিন নামে এক যুবক ছিল, যিনি খুবই সাহসী ও ভালো হৃদয়ের মানুষ ছিলেন। তার প্রেমিকা ছিল এক জন স্থানীয় মেয়ে। কিন্তু তাদের ভালোবাসার পথে নানা বাঁধা ও বাধা আসে।
কিংবদন্তি অনুযায়ী, সেন্টমার্টিন এবং তার প্রেমিকা একসঙ্গে থাকার জন্য অনেক সংগ্রাম করেন, এবং তারা শেষ পর্যন্ত দ্বীপটিকে ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। তবে দ্বীপের লোকজন তাদের প্রেমের গল্প আজও স্মরণ করে এবং এই কাহিনী সেন্টমার্টিনের ঐতিহ্য ও ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
এছাড়া, অনেক সময় সেন্টমার্টিন দ্বীপের নামকরণকে এই প্রেমের কাহিনীর সঙ্গে সংযুক্ত করে বলা হয় যে, সেন্টমার্টিন সেই যুবকের নাম, যিনি দ্বীপটিতে বাস করতেন বা এই অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
সংক্ষেপে:
সেন্টমার্টিন দ্বীপের সবচেয়ে বিখ্যাত কিংবদন্তি হলো দ্বীপের নামকরণ ও স্থানীয় প্রেমের কাহিনী, যা দ্বীপের মানুষের সংস্কৃতি ও ইতিহাসের অংশ হিসেবে বিবেচিত।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ খরচ ২০২৫
সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ এবং ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য। ২০২৫ সালে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করলে আপনার আনুমানিক খরচ কেমন হবে, সেটা নিচে ধাপে ধাপে দেখানো হলো।
১. ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাতায়াত খরচ
- বাস: ঢাকা থেকে কক্সবাজার বাসে যাওয়া-আসার খরচ প্রায় ৮০০-১,২০০ টাকা (সাধারণ ও এসি বাসের উপর নির্ভর করে)।
- প্রাইভেট কার বা ক্যাব: প্রায় ৫,০০০-৭,০০০ টাকা (দলের ক্ষেত্রে ভাগ করলে কম পড়ে)।
- বিমান: ঢাকা থেকে কক্সবাজারের ফ্লাইট ২০২৫ সালে প্রায় ২,৫০০-৪,০০০ টাকা (সিজন ও বুকিং টাইম অনুযায়ী পরিবর্তনশীল)।
২. কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার খরচ
- লঞ্চ / ফেরি: কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য সাধারণত লঞ্চ বা ফেরি ব্যবহার করা হয়। লঞ্চ টিকেটের খরচ:
- যাত্রী প্রতি: ৫০০-৭০০ টাকা (একদিকে)
- রিটার্ন টিকেট: ১,০০০-১,৪০০ টাকা
- বোট ভাড়া (প্রাইভেট): গ্রুপ হলে প্রাইভেট বোট ভাড়া করা যায়, খরচ প্রায় ৫,০০০-৮,০০০ টাকা, যা ভাগ করলে কম পড়ে।
৩. সেন্টমার্টিনে থাকার খরচ
- গেস্টহাউস / কটেজ: প্রতি রাতের ভাড়া প্রায় ৮০০-২,৫০০ টাকা। সিজন ও সুবিধার উপর নির্ভর করে দাম বাড়তে বা কমতে পারে।
- হোটেল: সাধারণত ছোট হোটেল বা গেস্টহাউস বেশি পাওয়া যায়, বড় হোটেল খুব কম।
- ক্যাম্পিং: নির্দিষ্ট সময়ে ক্যাম্পিং সুবিধাও পাওয়া যায়, খরচ কম হতে পারে।
৪. খাবারের খরচ
- দ্বীপে খাবারের দাম সাধারণত ঢাকা বা কক্সবাজারের তুলনায় একটু বেশি।
- স্থানীয় খাবার: ১০০-৩০০ টাকা প্রতি খাবার
- মাছ-সীফুড: ২৫০-৫০০ টাকা (মাছ-সীফুড সাধারণত বেশি দামে পাওয়া যায়)
৫. অন্যান্য খরচ
- অতিরিক্ত ভ্রমণ: সাইকেল ভাড়া (প্রায় ১০০-২০০ টাকা/ঘন্টা), মোটরবাইক ভাড়া (প্রায় ৫০০-৮০০ টাকা/দিন)।
- জলখেলা ও ট্যুর: পানির খেলাধুলা বা অন্যান্য ছোটখাটো ট্যুরের জন্য আলাদা খরচ হতে পারে, সাধারণত ৫০০-১,৫০০ টাকা।
৬. আনুমানিক মোট খরচ (২/৩ দিনের ট্রিপ)
খরচের ধরন | আনুমানিক দাম (টাকা) |
ঢাকা-কক্সবাজার যাতায়াত (বাস) | ১,২০০ – ২,৪০০ (যাত্রা-ফেরা) |
কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন লঞ্চ | ১,০০০ – ১,৪০০ (রিটার্ন) |
থাকা (২ রাত) | ১,৬০০ – ৫,০০০ |
খাবার (২ দিন) | ৬০০ – ১,২০০ |
স্থানীয় ভ্রমণ ও অন্যান্য | ৫০০ – ১,৫০০ |
মোট আনুমানিক খরচ | ৫,৪০০ – ১১,৫০০ টাকা |
ভ্রমণের টিপস
- অগ্রিম বুকিং করুন: সিজনের সময় আগেই বাস, লঞ্চ ও গেস্টহাউস বুকিং দিলে খরচ কম পড়ে এবং সুবিধা পাওয়া যায়।
- গ্রুপ ভ্রমণ করুন: বোট বা গাড়ি ভাড়া হলে খরচ ভাগ করা যায়।
- সুবিধাজনক সময়ে যান: জুলাই-সেপ্টেম্বর বর্ষাকাল হওয়ায় সেন্টমার্টিন ভ্রমণের জন্য ভালো সময় নয়, তাই অক্টোবর থেকে মার্চ মাসে ভ্রমণ করুন।
- স্থানীয় খাবার খান: সস্তায় ভালো খাবার পেতে স্থানীয় দোকান বা ছোট রেস্টুরেন্ট বেছে নিন।
সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটক ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মাস (ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর) পর্যন্ত সেন্ট মার্টিনে পর্যটক যাওয়া ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।somoynews.tv+10dailyjalalabad.com+10somoynews.tv+10
সাধারণত প্রতিবছর ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পর্যটকরা সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণ করতেন। তবে এ বছর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটক ভ্রমণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন ।bartapoint.net+1dailyjalalabad.com+1dailyjalalabad.com+1bartapoint.net+1
নভেম্বর মাসে পর্যটকরা সেন্ট মার্টিনে যেতে পারলেও রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দিনে ২,০০০ পর্যটক দ্বীপে যেতে পারবেন এবং রাত্রিযাপনও করতে পারবেন ।prothomalo.com+1channel24bd.tv+1
পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবে স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়ীদের আয়ের উৎস সংকুচিত হওয়ায় তারা সরকারের কাছে ভ্রমণের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ।
আপনি যদি সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত ভ্রমণ থেকে বিরত থাকা উচিত।
সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল ২০২৫
২০২৫ সালের জুন মাসে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। এই রুটে চলাচলকারী জাহাজগুলির মধ্যে রয়েছে ‘বার আউলিয়া’, ‘কেরি সিন্দাবাদ’ এবং আরও কয়েকটি। এই জাহাজগুলি সকাল ১০টায় টেকনাফ থেকে ছেড়ে সেন্টমার্টিন পৌঁছায় এবং বিকেল ৩টায় সেন্টমার্টিন থেকে ফিরে আসে। প্রতি জাহাজে প্রায় ৭০০ জন যাত্রী ধারণক্ষমতা রয়েছে। জাহাজ চলাচলের সময়সূচি এবং টিকিটের মূল্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।swadeshpratidin.com+2alokitobangladesh.com+2newsbangla24.com+2banglatribune.com+5ekushey-tv.com+5newsbangla24.com+5tbsnews.net+1alokitobangladesh.com+1
তবে, সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল কখনো কখনো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যেমন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়লে স্থানীয় প্রশাসন জাহাজ চলাচল স্থগিত করতে পারে। এছাড়া, সাগরের উত্তাল পরিস্থিতি বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।bonikbarta.com
যদি আপনি সেন্টমার্টিন ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের সর্বশেষ নির্দেশনা এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস চেক করা উচিত। এছাড়া, টিকিট বুকিংয়ের জন্য স্থানীয় ট্যুর অপারেটর বা বিআইডব্লিউটিএর অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।dainikanandabazar.com
টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজ ভাড়া ২০২৫
২০২৫ সালে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের জাহাজ ভাড়া বিভিন্ন কোম্পানির ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন। নিচে জনপ্রিয় কিছু জাহাজের টিকিট মূল্য উল্লেখ করা হলো:
🚢 জনপ্রিয় জাহাজ ও টিকিট মূল্য
1. কেয়ারী সিন্দবাদ (Keari Sindbad)
- মেইন ডেক: ৳১,০০০ (রাউন্ড ট্রিপ)
- ওপেন ডেক: ৳১,৩০০ (রাউন্ড ট্রিপ)
- ব্রিজ ডেক: ৳১,৪০০ (রাউন্ড ট্রিপ)
- শিশু নীতি: ৫ বছরের নিচে শিশুদের জন্য ফ্রি; ৫ বছরের উপরে হলে টিকিট প্রযোজ্য hoihullorholidays.com
2. এম ভি বে ক্রুজ (MV Bay Cruise)
- রজনীগন্ধা: ৳১,৪০০
- হাসনাহেনা: ৳১,৫০০
- কৃষ্ণচুড়া: ৳১,৮০০
- শিশু নীতি: ৫ বছরের নিচে শিশুদের জন্য ফ্রি; ৫ বছরের উপরে হলে টিকিট প্রযোজ্য
3. এম ভি দি আটলান্টিক ক্রুজ (MV The Atlantic Cruise)
- মেইন ডেক: ৳১,৪০০
- ওপেন ডেক: ৳১,৫০০
- রয়েল লাউঞ্জ (এসি): ৳১,৭০০
- লাক্সারি লাউঞ্জ (এসি): ৳১,৯০০
- সুপার লাক্সারি (নন-এসি মাস্টার ব্রিজ): ৳২,১০০
- শিশু নীতি: ৫ বছরের নিচে শিশুদের জন্য ফ্রি; ৫ বছরের উপরে হলে টিকিট প্রযোজ্য hoihullorholidays.com
4. এল সি টি কাজল (LCT Kajol)
- মেইন ডেক: ৳১,২০০
- ওপেন ডেক: ৳১,৪০০
- বিজনেস ক্লাস: ৳১,৬০০
- লাক্সারি লাউঞ্জ: ৳২,০০০
- ভিআইপি কেবিন (দুইজনের জন্য): ৳৫,০০০
- শিশু নীতি: ৫ বছরের নিচে শিশুদের জন্য ফ্রি; ৫ বছরের উপরে হলে টিকিট প্রযোজ্য hoihullorholidays.com
5. কেয়ারী ক্রুজ এন্ড ডাইন (Keari Cruise & Dine)
- এক্সক্লুসিভ লাউঞ্জ: ৳১,৪০০
- কোরাল লাউঞ্জ: ৳১,৬০০
- পার্ল লাউঞ্জ: ৳২,০০০
- শিশু নীতি: ৫ বছরের নিচে শিশুদের জন্য ফ্রি; ৫ বছরের উপরে হলে টিকিট প্রযোজ্য
ℹ️ অতিরিক্ত তথ্য
- সবগুলো জাহাজ সাধারণত সকাল ৯:৩০ টায় টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং দুপুর ৩:০০ টায় সেন্টমার্টিন থেকে ফিরে আসে।
- ভাড়া নির্ধারণে সিটের ধরন (এসি/নন-এসি), লাউঞ্জের মান এবং কেবিনের সুবিধা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- শিশুদের জন্য ৫ বছরের নিচে ফ্রি, তবে ৫ বছরের উপরে হলে টিকিট প্রযোজ্য।hoihullorholidays.com
🧳 টিকিট বুকিং ও ভ্রমণ পরামর্শ
- টিকিট বুকিংয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জাহাজ কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা নির্ধারিত বুকিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন।
- ভ্রমণের পূর্বে জাহাজের সময়সূচী ও ভাড়া সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন, কারণ জোয়ার-ভাটার কারণে সময়সূচীতে পরিবর্তন হতে পারে।
- ভ্রমণের সময় সঠিক সময়ে উপস্থিত থাকতে হবে, কারণ নির্ধারিত সময়ের পরে জাহাজ ছেড়ে যেতে পারে।hoihullorholidays.com
সেন্টমার্টিন খোলা নাকি বন্ধ
সেন্টমার্টিন দ্বীপ বর্তমানে পর্যটকদের জন্য বন্ধ রয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মাসের জন্য (ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর) সেন্টমার্টিনে পর্যটক ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটি দ্বীপটির পরিবেশগত সংকটাপন্ন অবস্থা এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে ।jagonews24.com+5ittefaq.com.bd+5somoynews.tv+5jagonews24.com+3somoynews.tv+3prothomalo.com+3jagonews24.com+1dhakapost.com+1
তবে, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে পর্যটক ভ্রমণ করা সম্ভব ছিল। এ সময়ে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া জেটি থেকে জাহাজে করে পর্যটকরা দ্বীপে ভ্রমণ করেছেন ।prothomalo.com
পরবর্তীতে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মাসের জন্য পর্যটকদের সেন্টমার্টিনে যাওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। এই সময়ে দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।somoynews.tv
সুতরাং, বর্তমানে সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের যাওয়া নিষিদ্ধ এবং দ্বীপটি বন্ধ রয়েছে।
সেন্টমার্টিন ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
সেন্টমার্টিন ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ, যা বিখ্যাত তার সুন্দর সৈকত, প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং শান্ত পরিবেশের জন্য। ভ্রমণের জন্য সেরা সময় নির্ধারণে প্রধান বিষয় হলো আবহাওয়া ও মৌসুম।
১. শুষ্ক মৌসুম (নভেম্বর থেকে এপ্রিল)
সেন্টমার্টিন ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো শুষ্ক মৌসুম, যা প্রায় নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত থাকে। এই সময়ে আকাশ পরিষ্কার থাকে, বৃষ্টি কম হয় এবং সাগরের ঢেউও সাধারণত শান্ত থাকে। ফলে ভ্রমণ, স্নরকেলিং, ডাইভিং, বোট রাইড ইত্যাদি করার জন্য এই সময় সবচেয়ে ভালো।
- তাপমাত্রা: প্রায় ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে।
- বৃষ্টি: খুব কম বৃষ্টি হয়।
- সাগরের জল: স্বচ্ছ ও শান্ত থাকে।
২. বর্ষাকাল (জুন থেকে সেপ্টেম্বর)
বর্ষাকালে (জুন থেকে সেপ্টেম্বর) সেন্টমার্টিনে প্রচুর বৃষ্টি হয়, সমুদ্রের ঢেউ বেশি থাকে এবং ঝড়ো বাতাস হতে পারে। তাই এই সময়ে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ করা নিরাপদ নয় এবং অনেক ক্ষেত্রে ফেরি পরিষেবা বন্ধ থাকে।
৩. মধ্যবর্তী সময় (মে এবং অক্টোবর)
মে ও অক্টোবর মাস কিছুটা অনিশ্চিত আবহাওয়ার কারণেই কম জনপ্রিয়। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হতে পারে, তবে মাঝে মধ্যে ভালো আবহাওয়াও থাকে। এই সময় ভ্রমণ করলে একটু ঝুঁকি থাকতে পারে।
সারসংক্ষেপ
মাস | আবহাওয়া | ভ্রমণের উপযোগিতা |
নভেম্বর-এপ্রিল | শুষ্ক, সোনালী সূর্য | সেরা সময়, নিরাপদ ভ্রমণ |
মে, অক্টোবর | অনিশ্চিত আবহাওয়া | মাঝারি, সাবধানে যাওয়া ভালো |
জুন-সেপ্টেম্বর | বর্ষাকাল, ঝড়ো বাতাস | বারণ, ঝুঁকিপূর্ণ |
অতিরিক্ত টিপস
- সেন্টমার্টিনে যাওয়ার জন্য টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচল শুষ্ক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি থাকে।
- বৃষ্টি হলে ফেরি সেবা বন্ধ হতে পারে, তাই ভ্রমণের আগে আবহাওয়া ও ফেরির সময়সূচি যাচাই করে নেওয়া জরুরি।
- শুষ্ক মৌসুমে গেলে পর্যটক বেশী থাকে, তাই আগেভাগেই বুকিং দেওয়া ভালো।
আপনি যদি এই সময়ে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করেন, তাহলে উপভোগ করতে পারবেন এর প্রকৃত সৌন্দর্য এবং স্বচ্ছ সমুদ্রের মনোরম দৃশ্য।
টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন কত কিলোমিটার
টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দূরত্ব প্রায় ৯ কিলোমিটার (৫.৫ মাইল)। এই দ্বীপটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ এবং এটি কক্সবাজার-টেকনাফ উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত। সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে চেরা দ্বীপ অবস্থিত, যা উচ্চ জোয়ারের সময় মূল দ্বীপ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছানোর জন্য শাহপরীর দ্বীপ থেকে ফেরি বা স্পিডবোটের মাধ্যমে যাত্রা করতে হয়। যাত্রার সময় প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের মধ্যে হয়। ফেরি বা স্পিডবোটের ভাড়া সাধারণত ২০০ থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, নির্ভর করে সেবার ধরন ও মৌসুমের উপর।
দ্বীপে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত, কারণ এই সময়ে আবহাওয়া শান্ত থাকে এবং সমুদ্রের অবস্থা নিরাপদ থাকে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিস্তারিত বললে বলতে হয়, এটি বাংলাদেশের এক অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক। সুন্দর বালুকাময় সৈকত, স্বচ্ছ নীল জলরাশি, জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এই দ্বীপ ভ্রমণকারীদের কাছে এক স্বপ্নের গন্তব্য।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা: এক স্বপ্নীল যাত্রা
১. যাত্রার প্রস্তুতি ও আগমন
সেন্টমার্টিনে পৌঁছানোর জন্য প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় উপজেলা টেকনাফে আসতে হবে। টেকনাফ থেকে নৌকা বা ফেরি ভাড়া করে সেন্টমার্টিনের জন্য যাত্রা শুরু হয়, যা আনুমানিক ১ থেকে ১.৫ ঘণ্টা সময় নেয়। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। ভ্রমণ শুরু থেকেই আকাশ ও সমুদ্রের মিলনে এক মায়াময় দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়।
২. দ্বীপের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
সেন্টমার্টিনের বালুকাময় সৈকতটি এতটাই সাদা ও নরম যে হেঁটে হাঁটতে গিয়ে মনে হয় যেন মধুর বালি পায়ে স্পর্শ করছে। সমুদ্রের জলের স্বচ্ছতা এবং নীলিমা পর্যটকদের মুগ্ধ করে। দ্বীপের চারপাশে প্রবাল প্রবাল প্রাচীর আছে, যা বিশুদ্ধ সমুদ্রজীবনের আবাসস্থল। এখানে কচ্ছপ, বিভিন্ন রঙিন মাছ এবং সাপ্লা প্রাণীর দেখা মেলে।
৩. দ্বীপের জনজীবন ও সংস্কৃতি
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা বেশ সহজ সরল, অধিকাংশ মানুষ মাছ ধরা এবং পর্যটন কাজেই নিয়োজিত। দ্বীপে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সীমিত হলেও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ও আতিথেয়তা খুব সুন্দরভাবে অনুভব করা যায়। দ্বীপের ছোট ছোট দোকানগুলোতে স্থানীয় হস্তশিল্প, শুঁটকি মাছ এবং তাজা সামুদ্রিক খাবার বিক্রি হয়।
৪. জনপ্রিয় আকর্ষণ ও কার্যক্রম
- সাঁতার ও স্নরকেলিং: সমুদ্রের নিচের জীববৈচিত্র্য উপভোগ করতে স্নরকেলিং করা যায়।
- কাঠের তৈরি নৌকায় সীটুরিং: দ্বীপের চারপাশে নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়ানো যায়।
- সানসেট দেখা: সন্ধ্যার সময় সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য মন মোহন করে।
- স্থানীয় খাবার: তাজা সামুদ্রিক মাছের রান্না ও কক্সবাজারের তুলনায় কম মসলাদার, কিন্তু স্বাদে খুবই চমৎকার।
৫. অভিজ্ঞতার বিশেষ দিক
দ্বীপটি খুবই শান্ত, যেখানে শহরের ধ্বনি দূরে থাকে। সেখানকার বাতাসে সাগরের লোনা গন্ধ মিশে থাকে যা এক অন্যরকম স্নিগ্ধতা আনে। রাতের আকাশে অসংখ্য তারা ঝলমল করে যা শহরের আলো থেকে দুরে থাকার সৌভাগ্য।
৬. ভ্রমণের সময়কাল ও বেস্ট সিজন
সাধারণত অক্টোবর থেকে মার্চ মাস সেন্টমার্টিন ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়, কারণ এই সময় আবহাওয়া শুষ্ক ও মনোরম থাকে।
সেন্টমার্টিন ভ্রমণের কিছু টিপস
- পর্যাপ্ত নগদ টাকা সঙ্গে রাখুন, কারণ দ্বীপে ব্যাংক বা এটিএম সুবিধা সীমিত।
- প্লাস্টিক ব্যবহার এড়িয়ে চলুন, দ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
- মোবাইল ফোনের ব্যাটারি ফুল চার্জ রাখুন, সেলুলার নেটওয়ার্ক অনেক সময় দুর্বল থাকে।
- হালকা খাবার ও পানি সঙ্গে রাখুন, বিশেষ করে পর্যটক মৌসুমে খাবারের দোকানগুলো ব্যস্ত থাকে।
সংক্ষিপ্ত সারাংশ
সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা, শান্তিপূর্ণ ও প্রাণবন্ত অভিজ্ঞতা। যারা প্রকৃতির নৈসর্গিকতা, সাদামাটা জীবনযাপন ও সাগরের শীতল বাতাসে সময় কাটাতে চান তাদের জন্য সেন্টমার্টিন আদর্শ গন্তব্য। এখানে যাওয়ার পর স্বপ্নের মতো এক মধুর মুহূর্ত কাটানো সম্ভব।
সেন্ট মার্টিন পরিবহন
সেন্ট মার্টিন পরিবহন বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় বাস সার্ভিস, যা ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, টেকনাফ, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং সেন্ট মার্টিন দ্বীপসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী পরিবহন করে। তাদের বাসে এসি, নন-এসি, বিজনেস ক্লাস ও স্লিপার কোচের মতো বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে।helpmulti.com+3prohelpbd.com+3vromontrips.com+3helpmulti.com+1travelinfo.com.bd+1
নিচে সেন্ট মার্টিন পরিবহনের কিছু প্রধান কাউন্টার ও তাদের ফোন নম্বর দেওয়া হলো:prohelpbd.com
🚌 ঢাকা অঞ্চলের কাউন্টার নম্বরসমূহ
- আরামবাগ: 01762-691341 / 01762-691339
- পান্থপথ: 01762-691364
- ফকিরাপুল: 01762-691342 / 01762-691350
- সায়দাবাদ: 01762-691350
- গাবতলি: 01762-691337
- কল্যাণপুর: 01762-691353
- আব্দুল্লাহপুর: 01762-691345
- শনির আখড়া: 01762-691336
- চট্টগ্রাম রোড: 01762-691343
- কাঁচপুর: 01762-691338bdcruise.com+2prohelpbd.com+2vromontrips.com+2
🌊 কক্সবাজার ও টেকনাফ অঞ্চলের কাউন্টার নম্বরসমূহ
- কক্সবাজার ঝাউতলা: 01762-691349
- কক্সবাজার কলাতলি: 01762-691347 / 01762-691348
- টেকনাফ: 01762-691351
- সেন্ট মার্টিন দ্বীপ: 01762-691361travelinfo.com.bd+2prohelpbd.com+2vromontrips.com+2vromontrips.com
🏞️ অন্যান্য অঞ্চলের কাউন্টার নম্বরসমূহ
- চট্টগ্রাম: 01762-691360 / 01762-691346
- কাপ্তাই: 01762-691355
- বান্দরবান: 01762-691356
- খাগড়াছড়ি: 01762-691358
- রাঙ্গামাটি: 01762-691357vromontrips.com
অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের জন্য তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: saintmartinparibahanbd.com ভিজিট করতে পারেন।
যাত্রার পূর্বে নির্দিষ্ট কাউন্টার বা গন্তব্যের সাথে যোগাযোগ করে টিকিটের প্রাপ্যতা ও সময়সূচী নিশ্চিত করা উত্তম।
যদি আপনি সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ করতে চান, তবে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ হয়ে ট্রলার বা স্পিডবোটে যাত্রা করতে হবে। এজন্য স্থানীয় এজেন্ট বা ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করা যেতে পারে।nymail24.com
আপনার যাত্রা নিরাপদ ও আরামদায়ক হোক!saintmartinparibahanbd.com+1saintmartinparibahanbd.com+1
সেন্ট মার্টিন রিসোর্ট
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য, যেখানে প্রায় ১৫০টি রিসোর্ট ও হোটেল রয়েছে। এখানে বিভিন্ন বাজেট ও সুবিধার রিসোর্ট পাওয়া যায়, যা আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে আরও স্মরণীয় করে তুলবে।sic.com.bd+1greenbelt.com.bd+1
সেন্ট মার্টিন কোরাল মুন বিচ রিসোর্ট
সেন্ট মার্টিন, বাংলাদেশ
বিচের কাছাকাছি অবস্থিত এই রিসোর্টে স্নোরকেলিং, হ্যামক, ফুটবল, ক্যারাম ও ব্যাডমিন্টন খেলার সুযোগ রয়েছে। রুম ভাড়া ৩,০০০–১৫,০০০ টাকা। facebook.com
সেন্ট মার্টিন, বাংলাদেশ
প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত এই রিসোর্টে ১৬ দিনের জন্য থাকার সুযোগ পাওয়া যায়। m.facebook.com
সেন্ট মার্টিন রিসোর্ট, কক্সবাজার
কক্সবাজার, বাংলাদেশ
পারিবারিক রুম, এয়ার কন্ডিশন, ফ্রি Wi-Fi, প্রাইভেট বাথরুমসহ সুবিধা প্রদান করে। রুম ভাড়া ও বুকিং তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট পরিদর্শন করুন। booking.com
সেন্ট মার্টিন, বাংলাদেশ
নৌবাহিনী পরিচালিত এই রিসোর্টে সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। রুম ভাড়া ২,৫০০–৬,০০০ টাকা। jagonews24.com
সেন্ট মার্টিন, বাংলাদেশ
উত্তর বিচের পাশে অবস্থিত এই রিসোর্টে ২৪টি কক্ষ ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। রুম ভাড়া ২,০০০–৪,০০০ টাকা। jagonews24.com
সেন্ট মার্টিন, বাংলাদেশ
পশ্চিম বিচে অবস্থিত এই রিসোর্টে সাগর লাগোয়া পরিচ্ছন্ন রুম রয়েছে। রুম ভাড়া ১,৫০০–৩,৫০০ টাকা। sic.com.bd
আপনি যদি সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ করতে চান, তবে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত শুকনো মৌসুমে যাওয়া উত্তম। এই সময় পর্যটকদের ভিড় থাকে, তাই আগে থেকেই রিসোর্ট বুকিং করা উচিত। রুম ভাড়া সাধারণত ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, রিসোর্টের অবস্থান ও সুবিধার উপর নির্ভর করে।greenbelt.com.bd+1greenbelt.com.bd+1greenbelt.com.bd+1greenbelt.com.bd+1
ভ্রমণের আগে রিসোর্টের অবস্থান, রুম ভাড়া, রেস্টুরেন্ট সুবিধা, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয় যাচাই করে নেওয়া উচিত। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত রুম ভাড়া বেশি থাকে, তাই এই সময়ের জন্য আগে থেকে বুকিং করা উত্তম।jagonews24.com
আরও বিস্তারিত তথ্য ও বুকিংয়ের জন্য আপনি Booking.com অথবা Agoda.com ওয়েবসাইট পরিদর্শন করতে পারেন।saint-martin-resort.bangladeshhotels.net+2booking.com+2agoda.com+2
নিচে সেন্ট মার্টিনের সেরা ৭টি সী-ভিউ রিসোর্ট নিয়ে একটি ভিডিও দেওয়া হলো, যা আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনায় সহায়ক হতে পারে:youtube.com+1m.youtube.com+1
সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ – প্রশ্ন ও উত্তর
❓ সেন্ট মার্টিন কোথায় অবস্থিত?
সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায়, বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ।
❓ সেন্ট মার্টিনে কিভাবে যাওয়া যায়?
সেন্ট মার্টিনে যেতে হলে প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার, সেখান থেকে টেকনাফ, এরপর টেকনাফ থেকে জাহাজ বা স্পিডবোটে সেন্ট মার্টিন।
❓ ঢাকা থেকে সেন্ট মার্টিন যেতে মোট কত খরচ পড়ে?
গড়ে ৬৫০০–৯০০০ টাকার মধ্যে খরচ হয়, যদি সাধারন গেস্টহাউসে থাকা এবং লোকাল খাবার গ্রহণ করেন। বিলাসবহুল রিসোর্ট ও স্পিডবোট ব্যবহারে খরচ আরও বাড়তে পারে।
❓ সেন্ট মার্টিনে কোন মৌসুমে যাওয়া ভালো?
নভেম্বর থেকে মার্চ – শীতকাল সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময়। তখন আবহাওয়া পরিষ্কার থাকে এবং ঢেউ তুলনামূলকভাবে শান্ত থাকে।
❓ সেন্ট মার্টিনে থাকার ভালো জায়গা কোনগুলো?
- Hotel Sea Inn (সাশ্রয়ী)
- Labiba Bilash (মিড রেঞ্জ)
- Coral View Resort (বিলাসবহুল)
❓ দ্বীপে কি ATM বা ব্যাংকের সুবিধা আছে?
না। দ্বীপে কোনো ATM বা ব্যাংক নেই। পর্যাপ্ত নগদ টাকা সাথে নিয়ে যাওয়া উচিত।
❓ ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক কেমন?
রবি ও গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক ভালো কাজ করে, তবে কিছু এলাকায় সিগনাল দুর্বল হতে পারে।
❓ সেন্ট মার্টিনে কী কী খাবার পাওয়া যায়?
- সামুদ্রিক মাছের BBQ
- ঝিনুক, চিংড়ি ও কাঁকড়া
- ফুচকা, চটপটি, নারকেলের পানি
❓ সেন্ট মার্টিনে ঘোরার মতো স্থান কোনগুলো?
- চেরাডুইলা সৈকত
- West Beach
- Dafnar Char
- Coral Zone
- ডলফিন স্পটিং এরিয়া
❓ পরিবেশ রক্ষায় কী করণীয়?
- প্লাস্টিক ব্যবহার না করা
- প্রবাল বা সামুদ্রিক প্রাণী স্পর্শ না করা
- নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলা
- স্থানীয় নিয়ম মেনে চলা
❓ সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে কোনো সরকারি অনুমতির প্রয়োজন আছে কি?
না, সাধারণ পর্যটকদের জন্য আলাদা অনুমতির প্রয়োজন নেই। তবে পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা মেনে চলতে হয়।
❓ জরুরি অবস্থায় কী করবেন?
- স্থানীয় হোটেলের হেল্পডেস্কে যোগাযোগ করুন
- কাছাকাছি কোস্ট গার্ড বা পুলিশ ক্যাম্পে যোগাযোগ করুন
- ফোনে ৯৯৯ এ কল দিন (যদি নেটওয়ার্ক থাকে)
❓ কোনো ট্র্যাভেল প্যাকেজ বুক করার বিশ্বস্ত উপায় কী?
- ট্রাস্টেড এজেন্সি বা TripAdvisor রেটিং দেখে বুক করুন
- Keari Sindbad ওয়েবসাইট থেকে জাহাজ বুক করুন
❓ একা ভ্রমণকারীদের জন্য সেন্ট মার্টিন নিরাপদ কি?
হ্যাঁ, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি – রাতে একা বিচে না যাওয়া, অপরিচিতদের সাথে না থাকা এবং ক্যাশ নিরাপদে রাখা উচিত।
❓ পরিবারের সাথে গেলে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?
- শিশুদের জন্য ওষুধ ও সানস্ক্রিন নিতে ভুলবেন না
- বিলাসবহুল রিসোর্ট বা ফ্যামিলি ফ্রেন্ডলি হোটেল বেছে নিন
- অতিরিক্ত খাবার ও পানি সঙ্গে রাখুন
✅ উপসংহার
সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ মানেই প্রকৃতির সঙ্গে এক নিবিড় বন্ধন। কক্সবাজারের কোলঘেঁষা বঙ্গোপসাগরের বুকে অবস্থিত এই প্রবাল দ্বীপটি প্রতিটি ভ্রমণপিপাসুর জন্যই যেন একবার যাওয়া চাই-ই চাই এমন গন্তব্য। তবে একটি সফল ভ্রমণের জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে গাইড। এই সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ গাইড – খরচ, রুট, আবাসন ঠিক সে উদ্দেশ্যেই তৈরি—যাতে আপনি নিজের মতো করে বাজেট, যাত্রাপথ এবং থাকার ব্যবস্থা ঠিক করে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে পারেন।
আমরা বিশ্বাস করি, এই গাইডটি আপনাকে কেবল তথ্য দেবে না, বরং একটি পরিপূর্ণ ও স্মরণীয় ভ্রমণের আত্মবিশ্বাসও দেবে। আবহাওয়ার অবস্থা, পরিবেশ-সচেতনতা, খাবার ও থাকার মানদণ্ড মিলিয়ে নিজের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলুন, আর পাড়ি দিন সেন্ট মার্টিনের শান্ত অথচ চঞ্চল সৌন্দর্যের দিকে।
ভালো থাকুন, নিরাপদে ভ্রমণ করুন — প্রকৃতির সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
📣 এখন আপনার পালা!
আপনার সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের পরিকল্পনা এখনই শুরু করুন! পোস্টটি যদি আপনার উপকারে আসে, তাহলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন—আপনার কবে যাওয়ার ইচ্ছা? আর যদি আগে গিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করুন।
✅ আরও এমন ভ্রমণ গাইড পেতে আমাদের ব্লগ সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না!
📩 যেকোনো প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় কমেন্ট করুন বা যোগাযোগ করুন আমাদের ফেসবুক পেজে।
⚠️ সতর্কীকরণ বার্তা
এই সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ গাইড – খরচ, রুট, আবাসন পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য একটি সাধারণ দিকনির্দেশনা হিসেবে। এখানে উল্লেখিত রুট, খরচ, জাহাজের সময়সূচি ও আবাসনের তথ্য সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই যাত্রার আগে সংশ্লিষ্ট পরিবহন কোম্পানি, আবহাওয়া অধিদপ্তর বা হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সর্বশেষ তথ্য নিশ্চিত করার অনুরোধ রইল।
এই গাইডে দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী ভ্রমণ করার সময় পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ বজায় রাখুন এবং নিজের ও অন্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
লেখার মধ্যে ভাষা জনিত কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।আজ এ পর্যন্তই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
প্রয়োজনীয় আরো পোস্ট সমূহ:-